অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবীতে এমন কিছু অদ্ভুত জাদুঘর রয়েছে যা আপনাকে কৌতূহলী এবং কিছুটা বিভ্রান্ত করে তুলবে। এমনই এক জাদুঘর হলো মেক্সিকোর কানকুনে পানির নিচের জাদুঘরটি।
জাদুঘর হলো ঐতিহাসিক, শৈল্পিক বৈজ্ঞানিক বা সাংস্কৃতিক আগ্রহের বস্তু সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য। জাদুঘরে সাধারণত থাকে কিংবদন্তি শিল্পীদের আঁকা ছবি, ঐতিহাসিক নিদর্শন, পাণ্ডুলিপি, ভাস্কর্য ইত্যাদি। কিন্তু এগুলো যদি পানির নিচে থাকে তবে কেমন হয়? কি অবাক লাগছে! মেক্সিকো দেশটিতে রয়েছে এমনই এক জাদুঘর।
মেক্সিকোর কানকুনে পানির নিচের জাদুঘরটি সত্যিই আশ্চর্যকর। এটি ভ্রমণ করলে একটি শ্বাসরুদ্ধকর অভিজ্ঞতা আপনার জীবনে যোগ হবে। কারণ এর সবকিছুই পানির নিচে প্রদর্শন করা হয় যার সবই সমুদ্রের বিছানায় স্থির।
কানকুনের আদিম জলরাশি ৫০০টিরও বেশি মূর্তি এবং ভাস্কর্য পানির নিচে প্রদর্শন করে। এই অনন্য ও অবিশ্বাস্য দৃশ্যটি দর্শনার্থীরা দেখার সুযোগ পায় কাঁচের নৌকা, স্কুবা ডাইভিং বা স্নরকেলিং এর মাধ্যমে।
যাদুঘরটি পরিবেশ বিজ্ঞান এবং শিল্পের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া প্রদর্শন করে এবং বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম প্রাচীর গঠন করে।
পানির নিচের জাদুঘরটি প্রবাল প্রাচীরের সুরক্ষার সুবিধার জন্য তৈরি। কৃত্রিম প্রাচীরগুলো সাধারণত ডুবে যাওয়া জাহাজ এবং সমুদ্রের তলদেশে পতিত অন্যান্য বস্তু দিয়ে তৈরি করা হয়। সেখানকার মূর্তিগুলো প্রবাল বৃদ্ধির উপাদান যা সমুদ্রকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
যেহেতু মূর্তিগুলো পিএইচ নিরপেক্ষ সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা তাই প্রবাল, সামুদ্রিক শৈবাল এবং শৈবালগুলো একটি পুরানো জাহাজের চেয়ে ভালভাবে বৃদ্ধি এবং বিকাশ করতে সক্ষম। পুরো জাদুঘরটি স্থিতিশীল ভিত্তিসহ স্থিতিশীল কাঠামোয় কৃত্রিম প্রাচীরের জন্য আদর্শ পৃষ্ঠ হিসাবে কাজ করছে। মূর্তিগুলোর মধ্যে থাকা গর্ত প্রবাল ও সামুদ্রিক প্রাণীদের বাসস্থান হিসেবে সহায়ক। এতে প্রবাল প্রাচীর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামুদ্রিক জীবনও বাড়বে।
Discussion about this post