অনলাইন ডেস্ক
বাঞ্জি জাম্প বা পাগলের মতো ঝাঁপ দেয়া। উঁচু যে কোনো স্থান থেকে দড়ি বেঁধে লাফিয়ে পড়েন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়রা। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এটাকে অনেকেই পাগলামি বলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লোকরেন্স নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজে প্রতিদিন বাঞ্জি জাম্পের জন্য ভিড় জমায় অনেকে। আর তাই ব্রিজটি পরিচিতি পেয়েছে বাঞ্জি ব্রিজ হিসেবে। ৭০৯ ফুট উচ্চতার এ ব্রিজ থেকে প্রতিদিন বাঞ্জি জাম্প দিতে হাজির হয় শ খানেক মানুষ।
৯০ এর দশকে ব্লোকরেন্স নদীর ওপর নির্মিত এ ব্রিজটি থেকে বাঞ্জি জাম্প দেয়ার প্রচলন শুরু হয়। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে এর জনপ্রিয়তা। বাঞ্জি জাম্পের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ব্রিজ এটি। শুধু স্থানীয়রাই নয়, বিভিন্ন দেশ থেকেও ব্রিজটি থেকে জাম্প দেয়ার জন্য আসেন পর্যটকরা। বর্তমানে প্রতিদিন ১০০ জন করে জাম্প দিচ্ছে। অন্যান্য সময় এ সংখ্যা পর্যটক আসার ওপর নির্ভর করে। তবে গত বছর পর্যটক কম ছিল।
ব্রিজটি থেকে জাম্প দিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার টাকা দিতে হয়। ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সীরাই সাধারণত এ ব্রিজে আসেন বাঞ্জি জাম্পের জন্য। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় জাম্প দেয়াদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশি। এখানে বাঞ্জি জাম্প দেয়ার নূন্যতম বয়স ১৪। আর এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯৬ বছরের এক ব্যক্তি জাম্প দিয়েছেন, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে স্থান পেয়েছে। তবে সাধারণত ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সীরাই বেশি যায় ব্রিজটিতে।
এখনও পর্যন্ত বাঞ্জি ব্রিজে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া জাম্প দেয়ার আগে প্রত্যেকের ফিটনেস পরীক্ষাসহ নেয়া হয় সর্বোচ্চ সতর্কতা।
Discussion about this post