অনলাইন ডেস্ক
পদ্মা সেতুর পিলার নানা কারণেই আলোচনায় এসেছে। এতে ১২২ মিটার দৈর্ঘ্যের পিলার ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিশ্বে একটি রেকর্ড। এই পিলার কিন্তু আবার এর ব্যস দিয়েও বিশ্ব রেকর্ড করেছে। বিশ্বের আর কোনো সেতুতে ৩ মিটার ব্যসের পিলার ব্যবহার করা হয়নি। এখানেই শেষ নয়। এই পিলারের নকশা নিয়েও হয়েছে বিস্তর আলোচনা।
এই যে বিশাল লম্বা পিলারগুলো এগুলো বসাতেও করতে হয়েছে এলাহি কাণ্ড। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতুড়ি দিয়ে কয়দিন কাজ করা গেছে। তারপরই ভেঙে গেছে। বিশেষ অর্ডার দিয়ে বানাতে হয়েছে নতুন হাতুড়ি। সে যাক।
আসা যাক পিলারের কথায়। এই পিলারগুলো আবার কিন্তু সোজা একলাই ঢুকে যায়নি নদীতলের মাটিতে।
তাহলে তো যথেষ্ট নিরাপদ হলো না। পদ্মার স্রোতের কথা মাথায় রেখে এই পিলারগুলো সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আরও ছয়টি পা। কারণ, একটি পিলারের তলা থেকে যদি মাটি সরে যায় বা এই পিলারই যদি ভেঙে যায়। তাই এই বাড়তি সতর্কতা। মাকড়সার যেমন আটটি পা থাকে ঠিক তেমন। এই পিলার বা পাইলগুলো পাইলগুলো খাঁড়াভাবে কিন্তু মাটিতে বসানো হয় না। বাঁকা করে বসানো হয়।
ফলে ১২০ মিটার লম্বা পিলার বাঁকা করে মাটিতে ঢোকালে মাটির নিচে এদের ছয়টি পা ছয়দিকে অনেক দূরে ছড়িয়ে যাবে। এই ছয়টির নিচের মাটি একসঙ্গে ধুয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও এতে কমছে। ফলে নিরাপত্তা বেড়েছে। আর এই ফাঁপা পিলার বা পাইলগুলোর ভেতরে তো বালি ঢুকছে। প্রশ্ন হচ্ছে এতে ক্ষয় হবে না? হবে। ক্ষয়ই স্বাভাবিক। তবে এটি এমনভাবে বানানো হয়েছে যে, ১০০ বছরে এর ক্ষয় হবে ১০ মিলিমিটার। ৫০ থেকে ৬০ মিলিমিটার তখনো থাকবে। অর্থাৎ, স্টিলের পাত দিয়ে বানানো কলামগুলো তখনো পদ্মাসেতুকে কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে। এই ক্ষয়ের মানটি পরীক্ষিত। আর বলে রাখা ভালো পদ্মা সেতুর আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ১০০ বছর।
Discussion about this post