অনলাইন ডেস্ক
দেড় কেজিরও বেশি ওজনের পান্না পাওয়া গেল জাম্বিয়ায়। ৭৫২৫ ক্যারাটের সেই পান্না উদ্ধার করলেন এক ভারতীয় ভূতত্ত্ববিদ। আরো বিস্তারিত বললে, এই বিজ্ঞানী একজন বাঙালি। তার নাম মানস বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভাগ্যরত্ন হিসাবে পান্নার জনপ্রিয়তা রয়েছে পুরো বিশ্বে। তবে সাধারণ মানুষ তা কিনতে পারেন রতিতে। বড় জোর ১০ থেকে ৩০ গ্রামের মধ্যে ঘোরাফেরা করে তার ওজন। এবার জাম্বিয়ায় বাঙালি ভূতাত্ত্বিক মানস যে না-কাটা পান্নাটি আবিষ্কার করেছেন, তার একটিরই ওজন ১ কেজি ৫০৫ গ্রাম।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই পান্না অবশ্য গত বছর জুলাই মাসে আবিষ্কার করেছিলেন মানস। তার সঙ্গে ঐ পান্না উদ্ধারের কাজ করেছেন রিচার্ড কাপেটা এবং তার দলও। এই পুরো দলটিকেই কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম পান্না আবিষ্কারের।
মানসের আবিষ্কৃত ঐ পান্নাটির নাম দেওয়া হয়েছে চিপেমবেল। জাম্বিয়ার স্থানীয় বাম্বা ভাষায় যার অর্থ গণ্ডার। এর আগে জাম্বিয়ার এই খনি থেকেই আরো দুইটি বড় পান্না আবিষ্কার হয়েছিল। ২০১০ সালে আবিষ্কার হওয়া ১ কেজি ২৪৫ গ্রাম ওজনের পান্নাটির নাম ছিল ইনফোসু। যার অর্থ হাতি।
২০১৮ সালে ১ কেজি ১৩১ গ্রাম ওজনের আরও একটি পান্না আবিষ্কার হয় কাজেম থেকে তার নাম দেওয়া হয়েছিল ইনকালামু। বাম্বা ভাষায় যার অর্থ সিংহ। তবে চিপেমবেল অর্থাৎ গণ্ডার এই হাতি এবং সিংহকে মাত দিয়েছে ওজনে। কাজেম জানিয়েছে, সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া না-কাটা পান্নাটির আকৃতি অনেকটা গণ্ডারের মুখের মতো। এমনকি গণ্ডারের শৃঙ্গের মতো উঁচু অংশও রয়েছে পাথরটিতে। তাই ঐ নামকরণ করা হয়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার
Discussion about this post