অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর একটি ছবি বিক্রি হয়েছে আমেরিকায়। ছবিটি ৭৫৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ১৯৩২ সালে আঁকা এই ছবিটির নাম, ‘উওম্যান সিটিং নিয়ার আ উইন্ডো’। এই নিয়ে পিকাসোর আঁকা পাঁচটি ছবি পর পর ৭০০ কোটির বেশি টাকায় বিক্রি হল। বিশ্বের আর কোনো চিত্রশিল্পীর এমন কৃতিত্ব নেই।
পাবলো দিয়েগো হোসে ফ্রান্সিসকো ডি পাওলা হুয়ান নেপোমুসিনো মারিয়া ডি লস রেমিডিওস সিপিয়ানো ডে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ রুইজ পিকাসো। লেখাপড়ায় অমনোযোগী ছাত্র পিকাসো একসময়কার মাতৃভূমি স্পেন থেকে ফ্রান্সে পাড়ি দিয়েছিলেন। তার বিশ্বাস ছিল, জীবনে একবার অন্তত প্যারিসে না গেলে বড় শিল্পী হওয়া যায় না। এক অচেনা শহর, আত্মীয় পরিজন তো দূর, মাথা গোঁজার সামান্য আস্তানাটুকুও ছিল না। সেটা ১৯০০ সাল। পিকাসোর বয়স তখন মাত্র ১৯ বছর।
দুইজনে যে বাসাটি ভাড়া নিলেন তাতে একটাই ঘর, একটাই বিছানা, সেই বিছানায় একজনই শুতে পারে। সেই ঘরে পুরো রাত জেগে পিকাসো মেঝেতে বসে ছবি আঁকতেন। আর জ্যাকব বিছানায় শুয়ে ঘুমাতেন। দিনের বেলা জ্যাকব কাজে বেরিয়ে গেলে পিকাসো ঘুমোতেন। এভাবেই দিন যাচ্ছিল তাদের।
পরবর্তীকালে পিকাসো যখন বিশ্ববিখ্যাত হন, তার ছবি যখন লাখ লাখ ডলারে বিক্রি হচ্ছে, তখন শিল্পরসিক দর্শকদের চোখে পড়ে, পিকাসোর অনেক বিখ্যাত ছবিতেই অদ্ভুতভাবে দেখা যাচ্ছে কিছু পায়ের ছাপ। বলা বাহুল্য সেইসব পদচিহ্নগুলি ছিল পিকাসোর প্রথম যৌবনের বন্ধু জ্যাকবের।
একজন ভুবন-বিখ্যাত শিল্পীর প্রথম জীবনের দারিদ্র্য, অনিশ্চয়তা ও কঠিন লড়াইয়ের দিনগুলির জীবন্ত দলিল হিসেবে গৃহসঙ্গী কবি জ্যাকবের পায়ের ছাপসহ সেসব ছবি আজ বিক্রি হয় লক্ষ লক্ষ ডলারে।
সূত্র: দ্য ওয়াল
Discussion about this post