সোনালি
বিড়াল
(Pardofelis temminckii) এর অপর নাম Temminck’s
cat. আর
এই
নামের পিছনে রহস্য
লুকিয়ে
আছে
একজন প্রাণিবিজ্ঞানীর। ডাচ
প্রাণিবিদ ‘Coenraad Jacob Temminck’ এর প্রতি
সন্মান
করেই
এশিয়
সোনালি
বিড়ালের বৈজ্ঞানিক নাম
বা
দ্বিপদী নাম রাখা হয়েছিল
Pardofelis temminckii.
কারণ
এই
ডাচ
বা
ডেনমার্কের বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম সোনালি
বিড়াল আবিস্কার করেছিলেন। তবে
সেই সোনালি বিড়াল
ছিল
আফ্রিকার সোনালি বিড়াল
যার
বৈজ্ঞানিক নাম
Profelis aurata. এশিয়
সোনালি
বিড়ালের
মাথা
থেকে
দেহের
দৈর্ঘ্য ৪
ফুট পর্যন্ত হয়ে
থাকে
এবং
ওজন
হয়
প্রায় ১৬ কেজি।
এটি
আমাদের দেশী গৃহপালিত বিড়ালের চেয়ে
৩ গুন
বেশি
বড়
হয়ে
থাকে।
এর
নাম সোনালি বিড়াল
হলেও
এর
দেহের
রঙ এর
মধ্যে
বৈচিত্র দেখা
যায়।
এদের
রঙ কখনো কখনো
সোনালি
বাদামি,
বাদামি,
বাদামি
কালো
এবং
ফ্যাকাশে দারুচিনির
মতো
হয়ে
থাকে।
এদের
মাথায়
ও সামনের দিকে
কিছু
কালো
দাগ
থাকে। সোনালি বিড়াল
দক্ষিণ
পূর্ব
এশিয়া
ও
চীনের
একটি
বড়
এলাকায়
পাওয়া
যায়।নেপাল, ভূটান,
ভারত,
তিব্বত,
চীন,
বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া,লাওস,
ভিয়েতনাম, মালোয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় সোনালি
বিড়ালের বিস্তৃতি।সোনালি বিড়াল
টেরিটরিয়াল ও সলিটারি প্রাণী
অর্থাৎ
এরা
একা
একাই
শিকার করে ও
নিজের
এলাকায়
অন্য কাউকে আসতে
দেয়না।এরা গাছে
চড়তে
পারে।গাছে উঠে
পাখির
বাচ্চা
ও
পাখি
শিকার করে থাকে।
এছাড়াও
অন্যান্য সরীসৃপ,
স্তন্যপায়ী প্রাণীও এরা
শিকার
করে।এরা নিজের
চেয়েও
অনেক
বড় প্রাণী হত্যা
করে
থাকে।
সিকিমের
পার্বত্য এলাকায়
এরা
গোরাল
নামে
ছাগল বা এন্টিলোপ জাতীয়
প্রাণী
প্রায়ই হত্যা করে
খেয়ে
থাকে।
বাংলাদেশে সোনালি
বিড়াল
খুবই
হুমকির মুখে। এদের
সংখ্যা
বর্তমানে খুবই
কম।
Discussion about this post