এনার্জি সেভিং বাল্ব এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই বাতি ব্যাবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সম্প্রতি এনার্জি সেভিং বাতির বিষয়ে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন যে এই বাতিগুলো ভেঙে গেলে তা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে।
এই লাইটগুলো ভেঙে গেলে হতে পারে বিপদের কারণ
এসব বাল্ব কোনভাবে ভেঙে গেলে ঘরের সবাইকে সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ৈ যেতে হবে। কমপক্ষে ১৫ মিনিট ঘরের বাইরে থাকতে হবে। এসব বাল্বে আছে বিষাক্ত পারদ বা মার্কারী। এটি মাথাব্যাথ্যা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটি নিশ্বাসের সাথে টেনে নেয়াও বিপজ্জনক।
এলার্জিগ্রস্থ লোকেরা এটি স্পর্শ করলে বা নিশ্বাসের সাথে টেনে নিলে ত্বকের মারাত্মক সমস্যা বা অন্যকোন বিপত্তিতে পড়বেন। আরো হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে যে, ভাঙা বাল্বের আবর্জনা ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সাহায্যে পরিষ্কারও করা যাবে না। কারণ এর ফলে দূষণ ছড়িয়ে পড়বে অন্যান্য কক্ষে।
সাধারণভাবে ঝাড়ু দিয়ে সাফ করতে হবে এসব আবর্জনা। তারপর ব্যাগে পুরে ডাস্টবিনে ফেলেদিয়ে আসতে হবে।
সীসা কিংবা আর্সেনিকের চাইতেও পারদ মানবদেহের জন্য বেশি মারাত্মক।
কী করতে হবে: পরিবেশ ও খাদ্যবিভাগের পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত হুঁশিয়ারী দেয়া হয়েছে :
- এনার্জি সেভিং বাল্ব ভেঙে গেলে দ্রুত ঘর থেকে বেড়িয়ে যান, কাচের ভাঙা টুকরো মাড়াবেন না।
- ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে পারদের ক্ষুদ্র কণা ছড়িয়ে পড়বে অন্যান্য কক্ষে।
- ঘর পরিষ্কার করার আগ হাতে দস্তানা পড়ে নিন।
- আবর্জনা একটি প্লাস্টিক ব্যাগে রাখুন। ব্যাগের মুখ বন্ধ করে দিন।
- এই ব্যাগ দূষিত আবর্জনা রাখার ডাস্টবিনে ফেলে আসুন।
- ভাঙা বাল্বের ধুলো কখনোই নিশ্বাসের সাথে টেনে নেবেন না।
Discussion about this post