আমাদের পায়ের তলায় কি আছে এ বিষয় সন্দেহাতীতভাবে রহস্যময়। আমরা যে মহাদেশে দাড়িয়ে আছি তার সৃষ্টি এবং ধ্বংস সহ আরো অনেক কিছুর জন্য প্লেটটেকটোনিকই দায়ী, কিন্তু এই প্রক্রিয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা গত শতাব্দী হতে জানতে শুরু করেছেন। যেহেতু এটি বিশেষ করে অবস্বাভাবিক উদাহরণ, ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো থেকে গবেষকদের একটি ট্রিও দল দৃষ্টিগোচর করেছেন যে প্রচুর পরিমাণে মহাদেশীয় ভূত্বক হারিয়ে গেছে, প্রায় পুরো মহাদেশেরই একই ঘটনা।
৬০ থেকে ৪০ মিলিয়ন বছর আগে ভারত ও ইউরেশিয়া সংঘর্ষের সময় হিমালয় সৃষ্টি হয়েছিল—বস্তুত এখনো অল্প অল্প করে এটা উচ্চতায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাটিং-এজ কম্পিউটার সফটওয়ার ব্যবহার করে এই দলটি এই বৃহৎ প্লেট দুটো সংঘর্ষ হওয়ার আগে, সংঘর্ষের সময় এবং পরে কি পরিমাণ ভুখণ্ড ছিল তা নির্ভুলভাবে হিসাব করেছেন।
জিওফিজিস্টে গ্রাজুয়েট Miquela Ingalls তার একটা স্টেটমেন্টে বলেন, “আমরা যা কিছু পেয়েছি তার অর্ধেক ভূখণ্ড ৬০ মিনিয়ন বছর আগে তা বর্তমান পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে হারিয়ে গেছে”। যেহেতু তাদের গবেষণা Nature Geoscience-এ বর্ণনা করা হয়েছে যে ৪৫০ ট্রিলিয়ন টনস হিসাব বহির্ভূত, তাতে হারিয়ে যাওয়া ভূখণ্ড পরিমান অনেক। হারিয়ে যাওয়া ভূখণ্ড উল্কা 67P এর খন্ডে চেয়ে ৪৫ গুণ বেশী। আর একটাই মাত্র রাস্তা যে এটা নিচে দেবে গেছে, তা না হলে এই ধারণার নিয়ে বেশ সমস্যা দেখা দেবে।
যখন প্লেটদ্বয় সংঘর্ষ হয় তখন দুইটা ঘটনার একটা ঘটতে পারে। যদি একটা মহাদেশীয় প্লেট হয় এবং আরেকটা মহাসাগরীয় প্লেট, মহাদেশীয় স্লাইডটি উপরে চলে আসবে কারন মহাসাগরীয় ভূত্বকটি অনেক বেশী ঘণ। এই মহাসাগরীয় ভূত্বকটি তারপর ফুটন্ত মেনটেলে গিয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে, অথবা ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে আশপাশের ভূখন্ডের সাথে একত্র হয়ে গেছে, অথবা বহিঃস্থ তরল দিয়ে সেটি সীমানা ক্রাস করেছে, বাকিটা মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে এর মধ্যেই সমাধিস্থ হয়েছে।
অন্যভাবে বলা যায়, যদি মহাদেশী ভূত্বকের খন্ডদ্বয় একে অপরকে ক্রাস করেছে বা ভেঙ্গেছে, দুইটাই প্রায় একই ঘনত্ব থাকে, তাহলে তারা বাঁকা হয়েছে, মুচড়ে গেছে, এবং উপরের দিকে উঠেছে, ফলে বিশাল পর্বতমালা তৈরি হয়েছে। এখানে অবশ্য মনে করা হচ্ছে না মহাদেশীয় ভূত্বকটি মেন্টেলের মধ্যে ডুবে গেছে যেহেতু মহাদেশী ভূত্বকটি নিচের দিকে গেছে। Ingalls মন্তব্য করেছেন, “আমাদের জিওলজি ১০১ এ শেখানোয় হয়েছে যে মহাদেশী ভূত্বকটি ভেসে আছে এবং মেন্টেলে নিমজ্জিত হতে পারে না”।
তথাপি ২০ বছর ধরে জিওলজিক্যাল উপাত্ত ব্যবহারে এই দলটি চমৎকার সিম্যুলেশন দেখিয়েছেন যে এর প্রায় সহজ ব্যাখ্যা একই। প্রত্যেকটি সম্ভাবনাকে খুটিয়ে দেখার পর তারা ফাইনালি বলেছেন যে মহাদেশী ভূত্বকটির অর্ধেক এই বিশাল সংঘর্ষে অবশ্যই নিচের দিকে গভীরে গিয়ে পূর্ণব্যবহৃত হয়েছে।
এই মহাদেশীয় ভূত্বকটি প্লাস্টিকের বোতলের মতো ভেসে আছে। এর ঘনত্ব এত কম যে এর সবকিছুকে শক্তিশালী টেকটনিক ফোর্স ঘণ মেন্টেলে টেলে পাঠিয়ে দিয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে। বর্তমানে এটা আগ্নেয়গীরি হতে সারা পৃথিবীতে প্রকান্ড চিতার আগুনের মতো করে উদ্গিরণ হচ্ছে।
Discussion about this post