প্রযুক্তি ডেস্ক
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা হওয়ার কারণে এখন আমরা বিভিন্ন ধরনের মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম দেখতে পাই।মূলত আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি। তারা সর্বদাই চাই নিজের তথ্য গুলো যেনো সুরক্ষিত থাকে। এবং নিজের শেয়ার করা তথ্য গুলো তে যেন যথেষ্ট পরিমাণে গোপনীয়তা বজায় থাকে।
আর এই দিকটা বিশেষ ভাবে খেয়াল রেখেছিলেন টেলিগ্রাম এর প্রতিষ্ঠাতা ব্যক্তিরা। মূলত সে কারণে বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্বের প্রায় ৬০০ মিলিয়ন এর বেশি মানুষ। মেসেজিং করার জন্য টেলিগ্রাম নামক এই প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার করে থাকে।
টেলিগ্রামের সিইও সম্প্রতি জানিয়েছেন টেলিগ্রাম থেকে এবার মোটা টাকা আয় করতে পারবেন চ্যানেল মালিকরা।
প্ল্যাটফর্মটি কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের পাশাপাশি সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য একাধিক ফিচার আনতে চলেছে কোম্পানি। চ্যাটিংয়ের পাশাপাশি গ্ৰুপ ও চ্যানেলেও দারুণ সব সুবিধা যোগ হবে এমনটা ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপকে জোর টেক্কা দিচ্ছে মেসেজিং অ্যাপ; যা এখন আর শুধু মেসেজিংয়ে সীমাবদ্ধ নেই, হয়ে উঠেছে ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টেলিগ্রাম চ্যানেল মালিকেরা বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। মেসেজিং অ্যাপে ব্যবহারকারীদের অ্যাড দেখানো হবে। সেখান থেকে আয় করা টাকার একটি বড় অংশ দেওয়া হবে চ্যানেল মালিকদের। তিনি জানিয়েছেন, অ্যাড থেকে আসা রেভেনিউয়ের অর্ধেক দেওয়া হবে চ্যানেল মালিকদের।
এছাড়াও ফাইন্যান্সিয়াল রিওয়ার্ড দেওয়া হবে তাদের। টিওএন ব্লকচেইনের ভিত্তিতে তৈরি হবে অ্যাড প্ল্যাটফর্ম। টোনকয়েন ক্রিপটোকারেন্সিতে এই রিওয়ার্ড পাবেন তারা। ১০০টি দেশে কন্টেন্ট এবং টেলিগ্রাম চ্যানেল মনিটাইজ করার অপশন আনা হচ্ছে। যার ফলে লাভবান হবেন টেলিগ্রামের কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।
আরও পড়ুন: শব্দ শুনেই ঝটপট ভিডিও তৈরি করে দেবে ‘সোরা’ !
এক নজরে দেখে যাক কীভাবে টেলিগ্রাম থেকে আয় করা সম্ভব—
চ্যানেলে অ্যাড দিন : চ্যানেলে অ্যাড দিয়ে টেলিগ্রাম থেকে প্রচুর আয় করা সম্ভব। ইদানিং টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আপনার চ্যানেলটি যারা সাবস্ক্রাইব করবে, তাদের ওই বিজ্ঞাপন দেখাবে। এর ফলে লাভ হবে আপনার।
ভার্চুয়াল টেলিগ্রাম অ্যাসিট্যান্ট : টেলিগ্রাম থেকে অর্থ আয় করতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে পারেন আপনি। একজন ভার্চুয়াল টেলিগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে আপনাকে টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের সাহায্যের করতে হবে। এর জন্য আপওয়ার্ক বা ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে প্রথমে। এই কাজ করতে পারলেই মোটা টাকা আয়ের সুযোগ আছে।
অনলাইন ক্লাস : টেলিগ্রামের মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইন ক্লাস করানো যায়। এর জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। তারপর সেখানে ছাত্রছাত্রীদের যোগ করুন। একবার যোগ হলে তারা সহজেই আপনার পোস্টগুলো দেখতে পারবে।
চ্যানেল তৈরি করুন : সবার কাজে লাগে এমন একটি বিষয় নিয়ে চ্যানেল বানান। তাতে কন্টেন্ট আপলোড করুন নিয়মিত। চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে হলে একটি মূল্য ধার্য করুন। এতেই বাড়বে আয়ের পরিমাণ।
টেলিগ্রামে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম
টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে ইনকাম করার সবথেকে বড় উপায় হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেলে যদি ভালো পরিমাণে মেম্বার থাকে। তাহলে আপনি বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোর এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর টাকা রোজগার করতে পারবেন।
মার্কেটিং হচ্ছে কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের বা প্রোডাক্ট এর লিংক শেয়ার করে আপনারা ভিজিটরদের উত্তর লিঙ্ক দিয়ে, প্রোডাক্ট বিক্রি করলে। প্রোডাক্ট থেকে যে লভ্যাংশ আসবে সেখান থেকে আপনাকে কমিশন প্রদান করা হবে।
বর্তমানে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সবথেকে জনপ্রিয় ই-কমার্স আমাজন।আপনারা এই ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ ক্যাফিয়া প্রোগ্রামের যুদ্ধ হয়ে এফিলেট লিংক আপনার টেলিগ্রাম চ্যানেলের শেয়ার করে, যদি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন। তাহলে যে পরিমাণে লভ্যাংশ আসবে সেখান থেকে কমিশন নিতে পারবেন।
Discussion about this post