অনলাইন ডেস্ক
করোনা বাস্তবতার আলোকে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অদৃশ্য ভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার।
অর্থমন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, উচ্চাভিলাষী নয়, প্রায় পুরোপুরিই করোনা বাস্তবতার আলোকে বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা। এর অর্থ জোগাড় করতে বিলাসী পণ্যে কর বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। যা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের থেকে ১২ শতাংশ বেশি।
আর এই আয় করতে গিয়ে নতুন অর্থবছরের বাজেটে মোবাইলে সব ধরনের সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে।
এরফলে বর্তমানে ১০০ টাকা রিচার্জ কর ৭৮ টাকা ২৭ পয়সার সেবা পাওয়া যায়। বাকি ২২ টাকা ৭২ পয়সা ট্যাক্স-ভ্যাট হিসেবে সরকার পায়। এবারের বাজেটে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর কারণে গ্রাহক ৭৩ টাকার সেবা পাবেন। বাকি ২৭ টাকা সরকার কর হিসেবে পাবে।
অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি) বিজ্ঞাপনের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়। এবারের বাজেটে এ ধরনের বিজ্ঞাপনের ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর আরোপ করা হচ্ছে। বিজ্ঞাপনের বিল পরিশোধের সময় ব্যাংককে ভ্যাট ও উৎসে কর কেটে রাখার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এর ফলে ভার্চুয়াল বিজ্ঞাপনে খরচ বাড়বে।
এছাড়াও সিসিভেদে ব্যক্তিগত গাড়ি রেজিস্ট্রেশনে অগ্রিম আয়কর বাড়ানো হচ্ছে। ১৫০০ সিসির কম ক্ষমতাসম্পন্ন গাড়ির অগ্রিম কর ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে। ১৫০০ থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির কর ৩০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা এবং ২০০০ থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে।
Discussion about this post