অনলাইন ডেস্ক
করোনাকালে ব্যাংকের ব্যয় বেড়েছে, কমেছে আয়। সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে দূরবস্থা। তবে প্রযুক্তির ব্যবহার করে ব্যয় সঙ্কচন এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সহজ হবে। তাই নগদ লেনদেনে চার্জ বাড়িয়ে অনলাইন বা ডিজিটাল লেনদেনে সেই অর্থ ভর্তুকী হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাপ বা মোবাইল ভিত্তিকে লেনদেন জনপ্রিয় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
আবার ডিজিটাল লেনদেনে সতর্ক করে দিয়ে তারা বলেছেন, করোনার মতো ছুটিকালীন সময়কে হ্যাকাররা হ্যাভেন মনে করে। আমাদের দেশে যত হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে তা ছুটির দিনেই ঘটেছে। কাজেই ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শুক্র ও শনিবার বাড়তি নজরদারিতে আনার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
শনিবার ব্যাংকিং খাতে কোভিড-১৯ এর প্রভাব শীর্ষক ওবিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের জিসিআইও শাহ আলম পাটোয়ারি। মূলপ্রবন্ধে কোভিডে ব্যাংকগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি খাতের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, টেলকোর পরেই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার হয় ব্যাংকিং খাতে। কিন্তু এই খাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই ঝুঁকি নিয়ে ব্রাঞ্চ ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি স্পর্শহীন মূল্য পরিশোধ সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা পস, এটিএম, এজেন্ট ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যাংকিং, টেলিফোন ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিং এবং চ্যাটবট সেবা গ্রহণে গ্রাহককে সচেতন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। নিরাপত্তার জন্য গ্রিন পিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
সিটিও ফোরাম প্রেসিডেন্ট তপন কান্তি সরকারের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধের ওপর প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো: জাকির হাসান এবং জনতা ব্যাংকের ডিজিএম মো: নূরুল ইসলাম।
Discussion about this post