নিজস্ব প্রতিবেদক
মোবাইল সেবার ওপর বর্ধিত পাঁচ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এছাড়া বাজেটে শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত ইন্টারনেটের পুরো শুল্ক প্রত্যাহারেরও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (২৪ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ চিঠি পাঠানো হয়।
সদ্য ঘোষিত বাজেটে মোবাইল ফোন ব্যবহারে গ্রাহক পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এখন পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধির পর সবমিলিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। ট্যাক্স বৃদ্ধির ফলে ১০০ টাকা রিচার্জে কর হিসেবে যাবে প্রায় ২৫ টাকা। এতদিন এটি ২২ টাকার মতো ছিল।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছি, পাঁচ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য। করোনাকালে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ইন্টারনেট। ব্যয় বাড়ানো হলে তা মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। অর্থমন্ত্রীর কাছে আরেকটি আবেদন করেছি, শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটের ওপর যেন শুল্ক রাখা না হয়।’ তারা এখন অনলাইনে পড়াশোনা করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ খাতে এক শতাংশ সারসার্জ আরোপ করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা ছিল ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও তিন শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আরো বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। গ্রামীণফোন ও রবির হিসাবে, তাদের মোট রাজস্ব আয়ের ৫৩ থেকে ৫৬ শতাংশ সরকারকে দিতে হয়।
Discussion about this post