অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ৫০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে এবং এ মুহূর্তে ৫টি হাইটেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
‘স্বপ্ন পরিকল্পনা’ ডানা মেলে প্রকল্পটির অধীনে ইতোমধ্যে সাড়ে ৩০০ একর জমি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
গত ৮ বছরে সরকার এখানে ৪৯৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে বেসরকারি খাত থেকে। এর বিপরীতে ২০১৬ সাল থেকেই হাইটেক পার্ক থেকে আয় শুরু হয়েছে।
হাইটেক পার্কে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ১১০টিরও বেশি স্টার্টআপ ও বড় কোম্পানি এখানে বিনিয়োগ করেছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এখানে ৫০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
২১ জুলাই মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাইটেকপার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
চুক্তির মাধ্যমে কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের সাড়ে ৪ একর জমিতে আর অ্যান্ডডি, টেস্টিং ও ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, চট্টগ্রামে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব ফন্টিয়ার টেকনোলজি, ১১টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর ও ট্রেনিং সেন্টার এবং বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড ইমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, হাইটেক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বা বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম বলেন, ইসিফোরজে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল রফতানি সম্ভাবনাময় খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ফুটওয়্যার, প্লাস্টিক ও হালকা প্রকৌশল খাতকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগী করে গড়ে তোলা। আশা করছি, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আগামীতে এসব পণ্যের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে।
Discussion about this post