নিউজ ডেস্ক
অপারেটররাই তরঙ্গের দাম বাড়িয়েছে উল্লেখ করে তরঙ্গের মূল্য কমাতে অপারেটরদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক।
শনিবার “গ্রাহক স্বার্থরক্ষায় মানসম্মত টেলিকম সেবার জন্য পর্যাপ্ত তরঙ্গ বরাদ্দে প্রতিবন্ধকতা নিরসনে করণীয়” শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিটিআরসি আয়ের কমিশন নয় তবে ভালো রেগুলেশনের ফলে সরকারের আয় হচ্ছে।
অপারেটরদেরকে নির্দেশ করে জহুরুল হক বলেন, তরঙ্গের দাম আপনারাই বাড়িয়েছেন। ইচ্ছে করলেই দাম কমানো যায় না। রেট বাড়ানো যায়। কমাতে হলে অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। কখনো কখনো প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে হয়।
আমলাতান্ত্রের মধ্যেও অসংখ্য মেধাবী ও দেশপ্রেমিক রয়েছেন উল্লেখ করে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, তরঙ্গমূল্য কমাতে হলে অপারেটরদেরই এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য তারা সরকারের সঙ্গে কথা বলতে পারে। আমাদের রেগুলেটরের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই। রেট কত হবে এটা রেগুলেটরের ব্যাপার নয়। এখন রেট কমে গেলে আমাদের যায় আসবে না। তবে রেট কমার যে প্রক্রিয়া তা কঠিন।
মহারমারি সময়ে বাড়তি তরঙ্গ চাহিদা মেটানোর বিষয়ে বিটিআরসি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে উল্লেখ করে জহুরুল হক বলেন, এ বিষয়ে আমি বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছি। তারা বলেছেন, যদি কেউ বাল্ক স্পেকট্রাম কেরে, সেই জায়গায় শুধু কনসিডার করা যাবে। এই ব্লাক মানে অংশ নয়। বাল্ক মানে সম্পূর্ণ। পুরো স্পেক্ট্রাম কিনলে সরকার দাম কমাতে পারে। আংশিকের দাম কমাতে পারে না।
দাম কমাতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, দুই বছর আগে যারা নিলাম হয়েছে। সেই নিলাম থেকে যদি দাম কমানো হয়, তাহলে যারা ওই সময় নিলাম করেছিলেন তারা এই সময় দাম ফেরত চাইতে পারেন। তখন সরকারের জন্য এটা সমস্যা হতে পারে। আমরা কখনো সরকারকে কোনো সমস্যায় ফেলতে চাই না। আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা যাবে।
আলোচনা সভায় সংযুক্ত ছিলেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রয় মিত্র, কমিশনার (এসএম) মোঃ আমিনুল হাসান, ডিজি (স্পেকট্রাম) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শহিদুল আলম, এমটবের সভাপতি ও রবির সিইও মাহাতাব উদ্দিন, টেলিকম বিশেষজ্ঞ টি. আই. নুরুল কবির, এমটবের মহাসচিব বিগ্রে. জে. এস. এম. ফরহাদ, বাংলালিংকের চীফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তৈমুর রহমান, এরিকসনের কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুস সালাম, বিটিআরসি’র ডেপুটি ডিরেক্টর (এসএম) মোঃ সোহেল রানা, সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খান, দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ মেহেদী, অ্যাটোমিক এনার্জি কমিশনের সাবেক ডিরেক্টর ড. কামরুজ্জামান, টেলিকম বিশেষজ্ঞ ইঞ্জি: আবু সালেহ, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এসোসিয়েট প্রফেসর ইঞ্জি: জাহিরুল ইসলাম, ঢাবি আইবিএ’র এসোসিয়েট প্রফেসর খালেদ মাহমুদ।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ এই ভার্চুয়াল বৈঠক সঞ্চালনা করেন।
Discussion about this post