অনলাইন ডেস্ক
মহাবিশ্বের বয়স কত? জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নটি নিয়ে কয়েক দশক ধরে বিতর্ক করছেন। একেক পক্ষ একেক দাবি করেছেন।
সামপ্রতিক বছগুলোতে নতুন বৈজ্ঞানিক পরিমাপের মাধ্যমে গবেষকরা বলে আসছেন মহাবিশ্বের আনুমানিক বয়স ১৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন (১ হাজার ৩৮০ কোটি) বছরের চেয়ে কয়েক লাখ বছর কম।
কিন্তু নিউ ইয়র্কের স্টনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দলের ধারাবাহিক একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশিত নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে, মহাবিশ্বের সঠিক বয়স প্রায় ১৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন বছরই।
চিলির আতাকামা কসমোলজি টেলিস্কোপ (এসিটি) থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণগুলো ব্যবহার করে জটিল গাণিতিক পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা এই বয়স নির্ণয় করেছেন। তাদের দাবি, এটাই মহাবিশ্বের মোটামুটি সঠিক বয়স। তাদের গবেষণার এই প্রাপ্ত ফল প্রাচীন অনেক উপাত্তের সঙ্গে মিলে যায়।
এসিটি গবেষণা দলটি সাতটি দেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। স্টনি ব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেহগালের নেতৃত্বে কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর পদার্থবিজ্ঞান এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের একটি দল এই গবেষণার অংশ হিসাবে মহাজাগতিক মাইক্রোওয়েভের পটভূমি (সিএমবি) বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা বিগ ব্যাংয়ের পরের সেই বহুল আলোচিত বিচ্ছুরণ।
গবেষণাপত্রের সহলেখক প্রফেসর শেহগল ব্যাখ্যা করে বলেন, স্টনি ব্রুকের গবেষক দলের নেতৃত্বে কাজ করে আমরা মহাবিশ্বের সেই শৈশবের চিত্রকে তার ‘মূল অবস্থায়’ উদ্ঘাটন করতে পেরেছি। সেই চিত্র দেখে আমরা কীভাবে আমাদের মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছিল তা আরো পুরোপুরি বুঝতে পারছি।
মহাবিশ্বকে এভাবে চিত্রিত করতে পারা আমাদের অন্যতম অর্জন। এটি ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীদের মহাবিশ্বের উত্পত্তি সম্পর্কে আরো নিখুঁতভাবে বুঝতে সাহায্য করে। অদূর ভবিষ্যতেই হয়তো মানুষ জানতে পারবে আমরা কোথায় আছি, কীভাবে এটি এলো, গ্যালাক্সিগুলো কোথায় চলেছে, মহাবিশ্বটি কীভাবে শেষ হতে পারে এবং কখন যে শেষ হতে পারে। —দ্য সায়েন্স
Discussion about this post