নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের মোবাইল টাওয়ারগুলোকে ওয়াইফাই টাওয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায় সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ইতোমধ্যে পদ্ধতিটির কার্যকারিতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এর সফলতা ও সুফলের সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন করে প্রকল্প হাতে নেয়া হতে পারে।
এর মাধ্যমেক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দেয়ার সরকারি উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইতোমধ্যে টেলিটকের টাওয়ারে ওয়াইফাই করা যায় কিনা, পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এটি সফল হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘পদ্ধতিটির ফলাফল মূল্যায়ন করা হচ্ছে। ফলাফল এগিয়ে যাওয়ার মতো হলে তা মানুষের কাছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে ভূমিকা রাখতে পারে।’
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর কৃষ্ণপুরে টাওয়ার হতে এই পরীক্ষা করে টেলিটক। ফলে বিনামূল্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছেন আব্দুল জব্বার রাবেয়া খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরআগে ১৪৬টি সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে বিনামূল্যে উচ্চগতির ওয়াইফাই চালুর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ এমবিপিএস গতির ব্যান্ডউইডথ পাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে ব্যান্ডউইডথ দেওয়া হবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খরচ বহন করবে। তবে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যেই পাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ‘ইন্সটলেশন অব অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অ্যাট গভর্মেন্ট কলেজ, ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট’ নামে প্রকল্পের আওতায় ৫৮৭ সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে উচ্চগতির ওয়াইফাই দেয়া হবে। এ প্রকল্পের জন্য সরকার খরচ করছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
সবগুলো বিভাগের এসব সরকারি প্রতিষ্ঠানে তিন লটে অপটিক্যাল ক্যাবল ও যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও এ সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
Discussion about this post