অনলাইন ডেস্ক
গ্রাহকদের জনপ্রিয় ও বিশ্বের অন্যতম ইলেকট্রনিক্স প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ক্যাসিও, সারা বাংলাদেশ জুড়ে ই-লার্নিং ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান করেছে। চলমান মহামারীর প্রভাবে স্কুল বন্ধ এবং দেশে সীমিত ভার্চুয়াল রিসোর্স থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাডেমিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ক্যাসিও শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থী কর্মশালা এবং বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইনে শেখার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে সকল শিক্ষা ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই বৃহৎ কর্মসূচীর মাধ্যমে ক্যাসিও জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি সহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান করেছে এবং দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সহজ ও সহজলভ্য করে তুলতে বিভিন্ন ধরণের কাস্টমাইজড অফারও দিচ্ছে তারা।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সার্ক ভুক্ত দেশগুলোর ভাইস প্রেসিডেন্ট কুলভূষণ শেঠ বলেন, “ক্যাসিও সবসময় তার অনন্য ও উদ্ভাবনী শিক্ষামূলক পণ্যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা ক্ষেত্রকে সহায়তা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সংকটকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামূলক সহায়তা প্রদানের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে তাদের একাডেমিক দুর্ভোগ ও প্রতিবন্ধকতাগুলো শিথিল করা, যাতে তারা নির্বিঘ্নে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।”
ব্যাকবোন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন শেখ মাহিন বলেন, “ভার্চুয়াল ক্লাস আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। যদিও অনলাইন ক্লাসগুলো স্কুলের জন্য যে ক্ষতি হচ্ছে তা পূরণ করতে পারবে না, কিন্তু এই ক্লাসগুলো শিক্ষার্থীদের সুবিধা দিয়েছে এবং জ্ঞানকে অনেকাংশে স্থানান্তর করেছে। আমরা লাইভ সেশনগুলোকে আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করেছি, যেখানে শিক্ষার্থীরা এসে তাদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে। আমি মনে করি, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে এটাই প্রযুক্তির সর্বোত্তম সুবিধা।”
টেন মিনিট স্কুলের সিইও আয়মান সাদিক বলেন, “আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহায়তা করার জন্য তারা যে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছে এটাই সবচেয়ে গর্বের বিষয়। বিনামূল্যে শিক্ষামূলক সেবা প্রদানে ক্যাসিও’র সাথে অংশীদার হতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ। ডিজিটাল লার্নিং রিসোর্স শিক্ষার্থীদের তাদের স্বপ্নের জীবন অনুসরণ করতে সহায়তা করে এবং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে শিক্ষিত করতে সক্ষম করে তুলে।”
Discussion about this post