নিজস্ব প্রতিবেদক
২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে বাংলাদেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল একাডেমি অ্যান্ড সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে উদীয়মান চাকরির বাজারের কথা বিবেচনা করেই এমন ঘোষণা দেন তিনি।
গতকাল বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে সংস্থাটির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল কো-অপারেশন : অ্যাকশন টুডে ফর ফিউচার জেনারেশন’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রচারিত ভিডিও বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারের উদ্যোগের ফলে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণের দিক দিয়ে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। মোট ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৩৪ লাখের ওপরে। আমাদের ডিজিটালাইজেশন আমাদের জনগণকে ‘চেঞ্জ-মেকারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে বিশাল সুযোগ করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল কানেকটিভিটির ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় তা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ সামাজিক পরিবর্তন আনতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এটা এসডিজি বাস্তবায়ন এবং কভিড-১৯ বিরোধী লড়াইয়েও সহায়তা করছে।
২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের তরুণদের দিন বদলের এই যাত্রার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে চাই।’
সেই জায়গা থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে উদীয়মান চাকরির বাজারের কথা বিবেচনা করে ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের নাগাদ বাংলাদেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল একাডেমি অ্যান্ড সেন্টার অব এক্সিলেন্স গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন তিনি। এ ছাড়া ডিজিটাল সেবার অগ্রযাত্রার অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট সালেহ ওয়ার্ক জেওয়াদি, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর, আলিবাবা গ্রুপের কো-ফাউন্ডার ও জাতিসংঘ মহাসচিবের ডিজিটাল সহযোগিতা সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের কো-চেয়ার জ্যাক মা, ভার্টি এন্টারপ্রাইজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সুনীল ভার্টি মিত্তাল, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামির পক্ষে সে দেশের আইসিটি মন্ত্রী পাউলা ইনগাবিরে, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েভের প্রতিষ্ঠাতা টিম বার্নার্স লি, এক্সপ্রাইজ ফাউন্ডেশনের সিইও অনুশেহ আনসারী, ইউএনডিপি প্রশাসক অচিম স্টেইনার এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপপো গ্রান্ডি অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব হলিন ঝাও-এর যৌথ আমন্ত্রণে এই ইভেন্টে যোগ দেন।
Discussion about this post