অনলাইন ডেস্ক
স্টারলিংকের অন্তত তিন শতাংশ স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে নতুন এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এর ফলে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে যে কোনও মহাকাশযান ও নভোচারী।
হার্ভার্ড স্মিথসোনিয়ান সেন্টার অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের নভোচারি জনাথন ম্যাকডুয়েলের সংগ্রহ করা উপাত্তে বিষয়টি উঠে এসেছে। উপাত্ত অনুযায়ী অন্তত তিন শতাংশ স্যাটেলাইটের উপর স্পেস এক্সের নিয়ন্ত্রণ নেই।
ব্যার্থতার হিসেবে এই হার ছোট হলেও মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো এসব স্যাটেলাইট অন্যান্য স্যাটেলাইটের সঙ্গে দুর্ঘটনায় জড়িত হলে ক্ষতিকর মহাকাশ বর্জ্যের সৃষ্টি হতে পারে। যা ভবিষ্যৎ মহাকাশ মিশনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে।
স্পেস এক্সের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের দাবি স্টারলিঙ্ক প্রকল্পের প্রতিটি স্যাটেলাইট কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নিয়ে পৃথিবী অভিমুখে পতিত করা যায়। যার ফলে মহাকাশে কোনও বর্জ্যের সৃষ্টি হয় না। তারা আরও দাবি করেন, কোনও স্যাটেলাইট কক্ষপথ থেকে সরে গেলেও সেটির অন্য কোনও স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা প্রতি ১০ বছরে এক শতাংশেরও কম।
তবে, জনাথন ম্যাকডুয়েল তার অনুসন্ধানে স্পেস এক্স যে ৪৫টি স্যাটেলাইট পরীক্ষামূলকভাবে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে এনেছে সেগুলো বাদ দিয়েই ধরেছেন।
উল্লেখ্য, স্পেস এক্সের এসব স্যাটেলাইটের এক একটির আকার একটি টেবিলের সমান এবং ভর ৫৫০ পাউন্ড। আকারের সঙ্গে কক্ষচ্যুত স্যাটেলাইটের গতির বিবেচনা করলে এমন একটি ভবঘুরে স্যাটেলাইট অন্যান্য স্যাটেলাইটের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই হারে স্পেস এক্সের স্যাটেলাইট অকেজো হতে থাকলে শেষ পর্যন্ত স্টারলিংক প্রকল্পের এক হাজার ২০০’র বেশি স্যাটেলাইট কক্ষচ্যূত হয়ে পড়ে মহাকাশে নিরুদ্দেশ ঘুরে বেড়াবে। যা অন্যান্য স্যাটেলাইট, মহাকাশ মিশন এমনকি নভোচারীদের জন্য মারাত্মক বিপদ বয়ে আনতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপি ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে ৪২ হাজার স্টারলিংক স্যাটেলাইট মহকাশে পাঠানোর মহাপরিকল্পনা হাতে নেয় স্পেস এক্স। এপর্যন্ত ৭৭৫টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার স্পেস এক্সকে ১২ হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের অনুমতিও দিয়েছে। এই বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চল ও কানাডার দক্ষিণাঞ্চলে পরীক্ষামূলকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়ার কথাও রয়েছে।
Discussion about this post