অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রানির মধ্যে আন্যতম রাম কোটা বা বড় কাঠবিড়ালি ( বৈজ্ঞানিক নাম : Ratufa bicolor ) ।যা বৃহৎ কাঠবিড়ালি নামেও পরিচিত Sciuridae পরিবারভুক্ত এক ধরণের স্তন্যপ্রায়ী প্রাণী। এদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়না। আবদ্ধাবস্থায় ১৯ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। বিশ্বে এরা প্রায় বিপদগ্রস্ত বলে বিবেচিত। পুরো বিশ্বেই দিনে দিনে এদের সংখ্যা কমে আসছে।
আকার
রাম কোটা লম্বায় এক মিটারের বেশি হতে পারে। মাথা-দেহ ৪২ সেন্টিমিটার ও লেজ ৬০ সেন্টিমিটার হতে পারে। ওজন প্রায় দুই কেজির মত। দেহের ওপরটা গাঢ় বাদামি থেকে কালো রঙের। গাল, গলা, বুক-পেট ও চার হাত-পায়ের ভেতরের দিকটা হালকা হলুদ বা সাদা রঙের। লম্বা লেজ কালো ও ঝোপালো। কান দুটো বেশ
বড় ও কালো। কানে গোছার মতো চুল থাকে।
খাদ্য
রাম কোটার খাদ্য তালিকায় আছে বিভিন্ন ধরনের ফল, পাতা, অঙ্কুর ও গাছের ছাল। ফলের বীজ ছড়িয়ে
বংশবৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
স্বভাব
রাম কোটা বৃক্ষবাসী প্রাণী। তাই সহজে মাটিতে নামে না। লাজুক এবং ভীতু ধরণের। দিনের বেলা সক্রিয় থাকে।সাধারণত একাকী থাকে, কখনোবা জোড়ায় দেখা যায়। উঁচু ও কাঁপা কাঁপা স্বরে ডাকে ।
বাসা
রাম কোটা বিভিন্ন গাছে একাধিক বাসা বানায়। পাতা ও ছোট ছোট কাঠি জড়ো করে বড় ও গোলগাল বাসা গড়ে। বাসার ভেতরে অন্দরমহল থাকে। ঢোকার পথ থাকে এক পাশে।
প্রজনন
মার্চ-সেপ্টেম্বর রাম কোটার প্রজননকাল।স্ত্রী রাম কোটা ৩২ দিন গর্ভধারণের পর প্রায় ৭৫ গ্রাম ওজন ও ২৩ সেন্টিমিটার লম্বা একটি বাচ্চার জন্ম দেয়। তবে কখনো দুটি বাচ্চাও হতে পারে। স্ত্রী বছরে দুবার বাচ্চা দেয়। বাচ্চারা প্রায় তিন বছর বয়সে যৌবনপ্রাপ্ত হয়।
তথ্য উকিপিডিয়া
Discussion about this post