নিউজ ডেস্ক
ডাকটিকেট অসাধারণ জ্ঞান অর্জনের হাতিয়ার। নতুন প্রজন্মের হাতে জ্ঞানের হাতিয়ার এই ডাকটিকিট পৌঁছে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ‘বাংলাপেক্স-২০২০’-এর চতুর্থ বাংলাদেশ জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ডাকটিকিট প্রদর্শনীর পাশাপাশি ডাকটিকিট সংগ্রাহক বৃদ্ধিতে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
ডাকঘরকে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চিঠিপত্র ও ম্যানুয়াল যোগাযোগ ব্যবস্থা ডিজিটাল ফরমেটে তৈরি হওয়ায় ডাকঘরের কাজের পরিধি অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাক ব্যবস্থার মাধ্যমে পণ্য পরিবহনে ডাকঘরের প্রয়োজনীয়তা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।’
‘করোনাকালে প্রচলিত পণ্য, বাজার ও বাণিজ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল কমার্স এখন মহীরুহে পরিণত হয়েছে। আমাদের আগামী দিনের বাণিজ্য বলতে ডিজিটাল বাণিজ্য বোঝাবে। পৃথিবী দ্রুত ডিজিটাল হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্যও ডিজিটাল হবে। ডাকঘর সারাদেশে বিদ্যমান বিশাল নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাণিজ্যে অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে।’
ডাক অধিদফতর, বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশনের উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল ডাকটিকিট প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে।
এই উপলক্ষে ডাক অধিদফতর স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী শনিবার ঢাকায় তার দফতরে ‘বাংলাপেক্স-২০২০’ প্রদর্শনী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটা কার্ড প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা মনির হোসেন অস্ট্রেলিয়া থেকে ওয়েবিনার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশন ও ডাক অধিদফতরের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
Discussion about this post