প্রযুক্তি ডেস্ক
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো গবেষণা ও উন্নয়ননির্ভর হাইড্রো-ইনফরম্যাটিকস (জল-তথ্যপ্রযুক্তি) নিয়ে হাইড্রোকো প্লাসের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে বড়তাকিয়া কনস্ট্রাকশন। এ যৌথ উদ্যোগে পানির পরিমাপ নিশ্চিত করবে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির মাধ্যমে। এ প্রযুক্তিতে পানির গুণগত মান ও গতিবেগ নির্ধারণে ৩০ সেকেন্ড সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল লা মেরেডিয়ানে এ দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বড়তাকিয়া কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ও হাইড্রোকো প্লাসের প্রতিষ্ঠাতা রাজীন এ চুক্তিতে সই করেন।
বড়তাকিয়া কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ‘এ চুক্তির মাধ্যমে আমরা শুধু ব্যবসায়িক অগ্রগতির কথা ভাবিনি। আমরা এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করছি। এই প্রযুক্তি দিয়ে আমরা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে সক্ষম হব। তাই এ চুক্তি শুধু ব্যবসায়িক উদ্দেশে নয়। দেশ ও দশের কথা ভেবেই আমরা এ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছি।’
হাইড্রোকো প্লাসের প্রতিষ্ঠাতা রাজীন এ প্রযুক্তির উদ্যোক্তা হিসেবে জানান, তাদের লক্ষ্য হলো পানির কার্যকারিতা রিয়েল-টাইম সিদ্ধান্ত সমর্থিত আর্কিটেকচার তৈরির প্রয়াসে উন্নত ব্যয়বহুল হাইড্রো-মেট্রিক তথ্য সিস্টেমকে সংহত করা। এ প্রযুক্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানির যেকোনো জীবাণু চিহ্নিত করা যাবে ৩০ সেকেন্ডে। তাই বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে এ প্রযুক্তি কার্যকর হবে। পাশাপাশি এ প্রযুক্তির মাধ্যমে পানির গতিবেগ ও গুণগত মান নির্ধারণ করা যাবে।
তিনি গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতবিজ্ঞানে স্নাতক করে বর্তমানে এসডিজির জন্য বিশ্বের ১৭ জন সম্মানিত নির্বাচিত জাতিসংঘের তরুণ নেতা। এছাড়া তিনি একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স (এএসএমই) ও ইঞ্জিনিয়ারিং ফর চেঞ্জ ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত সম্মানজনক রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত।
Discussion about this post