অনলাইন ডেস্ক
আপনি হয়তো আরাম করে বসে আছেন অথবা শুয়ে শুয়ে ল্যাপটপ চালাচ্ছেন। হঠাৎ কানের কাছে এসে মশা ভনভন করা শুরু করল। মেজাজটা কেমন বিগড়ে যায় তখন বলুন তো? আচ্ছা, কেনো কানের কাছে এসেই এত ভন ভন করতে হবে?? তখন কষে একটা থাপ্পড় লাগাতে ইচ্ছা করে না ??
মশা কিন্তু আসলে ইচ্ছা করে কানের কাছে ভন ভন করে না। এরা কানের কাছে এলে আমরা যে শব্দটা শুনি, সেটা আসলে এদের ডানা ঝাপ্টানোর শব্দ! মশা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩০০-৬০০ বার ডানা ঝাপ্টায়। এতো বেশিবার ডানা ঝাপ্টায় বলেই আমরা একরকম ভনভন শব্দ শুনি।
হুল ফোটানোঃ
তাছাড়া প্রায়ই দেখা যায়, মশা আমাদেরকে কামড়ে চলে যাওয়ার পর আমরা কষে একখান চড় মারি, কিন্তু এরা মরে না, বরং নিজেরাই ব্যথা পাই। কেন আমরা একটু আগে মশার কামড় টের পাই না? এর কারণ হলো, এরা গায়ে বসেই হুল ফোটায় না। তাদের শরীর এত হালকা যে, ওরা যদি তাদের ছয় পা বিছিয়ে পাঁচ-ছয় মিনিটও শরীরের চামড়ার ওপর বসে থাকে, টের পাওয়া যাবে না।
কামড়ানোর আগে ওরা মিনিট খানেক চুপচাপ বসে থাকে। হুল পিচ্ছিল করার জন্য মুখে লালা আনে। এর পর হুল ফুটিয়ে মিনিট তিনেক ধরে রক্ত চুষে নেয়। পেট ভরে গেলে, মাত্র কয়েক সেকেন্ডে হুল বের করে উড়ে যায় ডিম পাড়ার জন্য। লালার কারণে গায়ের চামড়া কিছুটা অবশ হয় বলে এর কামড় সহজে টের পাওয়া যায় না। কিন্তু লালার একটি উপাদান রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। এই উপাদানটির জন্য কারও কারও চামড়ায় (বলতে পারেন সবার ক্ষেত্রেই) অনেক সময় অ্যালার্জি হয়, চুলকায়। তখনই মনে হয় মশা কামড়াচ্ছে। কিন্তু ততক্ষণে তারা রক্ত খেয়ে উড়ে গেছে!
আর একটি কথা, আপনারা জানেন কি, (যদিও ব্যাপারটি আগে খানিকটা ইঙ্গিত করেছি) শুধুমাত্র মহিলা মশাই আমাদের শরীরে হুল ফুটিয়ে রক্ত চুষে খায়। পুরুষরা এ ব্যাপারে একদম নির্বিকার। আসলে এরা মানুষকে কামড়ায় তাদের বংশবৃদ্ধির জন্য। মহিলা মশার ডিম পাড়ার জন্যে রক্তের দরকার। আর সেই জন্যেই তারা মানুষকে কামড়ে একটু রক্ত নিয়ে নেয়। তারপরে উড়ে গিয়ে ডিম পাড়ে। তবে তাদের সবচেয়ে পছন্দ গরু-মহিষের রক্ত। তারপরে মানুষের রক্ত।
Discussion about this post