নিউজ ডেস্ক
বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ড্রোন, এরিয়াল ও ফায়ারওয়ার্কস (আতশবাজি) শো করবে সরকার। এ দিন ঢাকার আকাশে ৭০০ থেকে ৮০০ ড্রোন উড়বে।
জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে বর্ণাঢ্য আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ ধরনের ইভেন্ট বাংলাদেশে প্রথম, এতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে।
আগামী ২৬ মার্চ ৭০০ থেকে ৮০০ ড্রোন আকাশের ৪০০ থেকে ৪৫০ ফুট উপরে উঠে ৩০ মিনিটের বিভিন্ন শো উপস্থাপন করবে। লেজার শো-এর মধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন শো এরিয়াল লেজার প্রজেকশন। দুটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১ হাজার ফুট উপরে ৩ হাজার বর্গমিটার বিস্তৃত লেজার প্রজেকশন শো প্রদর্শন করা হবে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণসহ বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও উন্নয়নের চিত্র প্রদর্শন করা হবে। জাতীয় সংসদ প্লাজা বা হাতিরঝিল প্রাঙ্গণে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হতে পারে, এতে ঢাকার লাখ লাখ মানুষ অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় তাদের প্রস্তাবে বলেছে, আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতান সুবর্ণজয়ন্তী মহাসমারোহে উদযাপন করা হবে। সে লক্ষ্যে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ড্রোন শো ও এরিয়াল প্রোজেকশন শোতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে আগামী ২৬ মার্চ সুবর্ণজয়ন্তী কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে এ শো আয়োজন করা প্রয়োজন। সময় স্বল্পতার কারণে এবং একক উৎস বিবেচনায় সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ার বিষয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ইনসেপশন ৩৬০ লিমিটেড’ এ তিনটি শো বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান করবে। এতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি ৯ লাখ ৯৫ হাজার ১৫০ টাকা। ইনসেপশন ৩৬০ লিমিটেড অনুষ্ঠান আয়োজনে একটি ব্যয় প্রস্তাব করেছে। ড্রোন শো বাবদ ১৮ কোটি টাকা, এরিয়াল শো বাবদ সাড়ে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও ফায়ার-ওয়ার্কস শো বাবদ ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সংক্রান্ত বাজেট থেকে ১০ কোটি টাকা দেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাকি টাকা স্পন্সরের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে ইনসেপশন ৩৬০ লিমিটেড।
Discussion about this post