অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) ঢাকা ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্মেলন’২০২১। বাংলাদেশ, আমেরিকা, কানাডা, জার্মানী, চীন ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী, গবেষক ও প্রকৌশলীবৃন্দ দেশের ইতিহাসে এই প্রথম স্বশরীরে ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে তাদের গবেষণাকর্ম উপস্থাপন করছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। এসময় তিনি বিজ্ঞানীদের জনআকাঙক্ষা ও চাহিদার ওপর আলোকপাত করে গবেষণা চালিয়ে যেতে উপস্থিত বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান উল্লেখ করেন “ শুধু কোভিড নয়, জাতির ভাগ্য উন্নয়নে যেকোন গুরুত্বপূণ সিদ্ধান্ত এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা যারা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করছি তাদেরকেও নতুন নতুন গবেষণা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন- “স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে আমরা এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছি। উন্নত দেশে প্রবেশ করতে হলে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা সকলে মিলে যার যার অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আ হ ম রুহুল হক বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয় দিনরাত গবেষণাগার খোলা রেখে কাজ করতে হবে। সেই সাথে মানুষের কল্যাণের জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে”।
পৃষ্ঠপোষকের ভাষণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন- “বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আমাদের সবাইকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ”
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আফতাব আলী শেখ তার ভাষণে বলেন- “দেশনেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণেই এ দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। আজকের এই আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত হতে প্রতিদিন একই সাথে বারোটি প্যারালাল সেশনে সহস্রাধিক বিজ্ঞানী, গবেষক ও প্রকৌশলী তাদের গবেষণাকর্ম তুলে ধরবেন, যা ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ”
উদ্বোধন পরবর্তী সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রীতির কথা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, কোনো কসমেটিক সার্জারি দিয়ে সফলতা আসে না। গৌরব রচিত হয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের পথ বেয়ে। তাই এই খাতে নিয়মিত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে এই খাতের সমর্থন জোয়ার-ভাটার মতো আচরণ করে। এই আচরণ থেকে বের হয়ে আসলেই দেশের উদ্ভাব ও প্রযুক্তি বিশ্বজয় করতে পারবে।
Discussion about this post