নিউজ ডেস্ক
একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি এদেশের মানুষের ভালোবাসার চিত্র উঠে এসেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কণ্ঠে। বিশেষ করে মায়েরা কী ভূমিকা পালন করেছেন তা উঠে এসেছে তার কথায়।
‘আমার মা যুদ্ধ থেকে ফিরে আসবো না জেনেও বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে আমাকে যুদ্ধে পাঠিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্য নয় মাস রোজা রেখেছেন। আমার মায়ের মতো কোটি মা তার সন্তানদের হাসি মুখে যুদ্ধে পাঠিয়েছেন। এদেশের মায়েরা মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন, থাকতে দিয়েছেন। অথচ তাদের অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে দেখেননি হয়তো। ’
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঢাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ২৫ মার্চের গণহত্যা ও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেছেন, সারা পৃথিবীতে গণহত্যার নির্মমতার ইতিহাসে একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর পৈশাচিকতা ছিল নজিরবিহীন। এই দিনটি বাঙালির জন্য বেদনা ও স্মৃতিকাতরতার দিন।
তিনি বলেন, অনুরূপভাবে গ্রেফতারের আগে বেতার বার্তায় পাঠানো ২৬ মার্চে প্রচারিত বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এদেশীয় কিছু দোসর ছাড়া গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, ’৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার ঘোষণার ধারাবাহিকতায় ’৬৮ সালের পর থেকেই সরাসরি স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জয় বাংলা ঘোষণা, বাংলাদেশ নামকরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় পতাকা উত্তোলন এবং জয় বাংলা বাহিনীর প্যারেড অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণারই বহিঃপ্রকাশ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনের সুদীর্ঘ পথযাত্রা অধ্যয়ন না করলে বঙ্গবন্ধুর বিশালত্ব জানা যাবে না।
তিনি পাঠ্য বইয়ের বাইরে বঙ্গবন্ধুকে অধ্যয়ন করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য, জাতি, রাষ্ট্রের ইতিহাস জানার জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিএসসিএল চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক অধিদপ্তরের মহপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ জহীর।
Discussion about this post