অনলাইন ডেস্ক
সরকারি-বেসরকারি সকল কাজ ডিজিটালি সম্পাদন করতে পারায় মহামারিতেও বাংলাদেশে জিডিপি ৫.২ শতাংশ অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও দেশী উদ্যোক্তা ও বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন স্থানীয় বাজারের আকারকে। এর ফলেই বাংলাদেশ ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ ক্ষেত্র হয়ে উঠছে। অবকাঠামো এবং সরাকারি নীতি এবং সুযোগ সুবিধা মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগকারীদের জন্য বেস্ট ডেস্টিনেশন হয়ে উঠছে।
শুক্রবার ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মেক লোকাল, সেল গ্লোবাল সেমিনারে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটাই জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প পূরণের চূড়ান্ত বর্ষে দেশে এখন বিশ্বমানের ডিজিটাল ডিভাইস তৈরিতে সক্ষমতা অর্জনের কথা তুলে ধরে আগামী দিনের সমস্যাকে সম্ভাবনা ও সুযোগ হিসেবে কাজে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস তৈরির পাশাপাশি এখনই রোবটিকসের মতো ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তিতে মনোযোগী হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মেড ইন বাংলাদেশ নীতিমালা করতে যাচ্ছি সেখানে পিপিআর-এ প্রয়োজনী পরিবর্তন আনার আগেই আমরা আইসিটি বিভাগের সরকারী ক্রয় নীতমালায় স্থানীয় উৎপদিত সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এরফলে ইতোমধ্যেই স্যামসাং বাংলাদেশে ১৫ লাখ মোবাইল ফোন তৈরি করেছে। প্রায় ২৩টি দেশে ওয়ালটন একাই রপ্তানি করেছে ৪২ কোটি টাকার প্রযুক্তি পণ্য।
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিএমইএ) এই সুযোগটা কাজে লাগাবে বলেও প্রত্যাশা করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
ডাটাসফটের সিইও মাহবুব জামানের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন থিংক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশিকুর রহমান তানিম।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন গ্রুপের সিইও লিয়াকত আলী, বাংলাদেশে স্যামস্যাং পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফেয়ার গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) মেজবাহ উদ্দিন, আইবিএ’র ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক লাফিফা জামাল, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক এ এন এম শফিকুল ইসলাম, ব্র্যান্ড ফোরামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম, এলআইসিটির পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহমেদ এবং হালিমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম হাসান বক্তব্য রাখেন।
Discussion about this post