অনলাইন ডেস্ক
স্বচ্ছ প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন সেবায় ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় মধ্যসত্বভোগীদের উৎখাত করে প্রান্তিক মানুষের ক্ষমতায়নে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
ডেটার বিশুদ্ধতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নাগরিকদের জন্ম-মৃত্যু সনদ,কাবিন নামা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যবসায় নিবন্ধন এবং পরিচয় সনাক্তকরণ ব্যবস্থাপনা ছাড়াও নানা ক্ষেত্রে এর ব্যবহার শুরু হচ্ছে। সম্প্রতি অনেকগুলো ডেটাবেজ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে স্বতন্ত্র ব্লগ চেইনের মাধ্যমে এর কয়েকটি সেবা সাশ্রয়ে ও দ্রুততার সঙ্গে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
বাংলাদেশে ব্লক চেইনের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে মঙ্গলবার আয়োজিত বক্লচেইন ইকোনোমি সামিটে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, “ইতোমধ্যেই আমরা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি সেন্টার অব এক্সিলেন্স গঠন করেছি। ইতোমধ্যেই এখানে আইবিএম প্রথম অংশীদার হিসেবে সংযুক্ত হয়েছে। তাদের সঙ্গে মিলেই ব্লকচেইন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে ৫টি উদ্ভাবনী ধারনার উন্নয়ন করা হয়েছে।”
ইতোমধ্যেই সেই ধারণাগুলোর বাস্তবায়ন কার্যক্রমের অধীনে দেশের ৯টি আইটি প্রতিষ্ঠানের অনন্তত ২০০ ডেভেলপারকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের পাশাপাশি জাপান, মালোয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কাজ শুরু করেছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, নাগরিক সেবা দেয়ার পাশাপাশি বিসিসির ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার সিস্টেম সহ বেশ কিছু উদ্যোগ সরকারের স্পর্শকাতর তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। হ্যাকিং, লিকিং এবং থেফট থেকে রক্ষার মাধ্যমে ডিএলএস-এ সেসব তথ্য সংরক্ষণ করায় এখন সেসব তথ্য যে কোনো সিস্টেম থেকে সহজেই সনাক্ত করা যাচ্ছে। একইসঙ্গে তথ্যের স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করা হচ্ছে। এরমধ্যেই আইসিটি বিভাগ ওআইআর (সাংগঠনিক তথ্য প্রয়োজনীয়তা) চ্যালেঞ্জ সাদরে গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, “আমাদের হোম গ্রোন স্যলুশন দিয়েই আমরা আমাদের স্থানীয় সমস্যার সমাধন করবো।”
ইনসপায়রিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান ফারহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
বক্তব্যে শুধু ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়, অর্থনীতির সব ক্ষেত্রকেই মধ্যস্বত্তভোগী বা দালালমুক্ত করতে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি। বিভিন্ন দেশে বিটকয়েনসহ অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রার বিষয়ে সতর্কবর্তা উচ্চারণ করে এর চ্যালেঞ্জ ও দেশে এর ব্যবহারের প্রতিবন্ধকতার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ডিজিটাল লেনদেনে আস্থার জায়গা তৈরি করতে না পারলেও সম্পদের ব্যবস্থানায় এটি একটি টেকসই প্রযুক্তি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাও কিতো, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলি রুবায়েত, বিডা নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম খান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পনি লিমিটেডের পারিচালক অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপদেষ্টা মোঃ রাফি হোসাইন ।
Discussion about this post