`শিক্ষার আলো ডেস্ক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাবের জন্য ১০১ কোটি ২৮ লাখ ৪ হাজার ৩৬ টাকায় মালামাল কেনার অনুমোদন পেয়েছে ।
এ বিষয়ে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, আত্মনির্ভরশীল ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে তথ্য প্রযুক্তির অবদান অনস্বীকার্য। ডিজিটাল বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান সুবিধাদি কাজে লাগিয়ে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলোকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করার দ্বায়িত্ব নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
তিনি আরও জানান, অতি অল্প সময়ের মধ্যে ৫০০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিতব্য শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের জন্য ল্যাপটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, রাউটার, ওয়েব ক্যামেরাসহ অন্যান্য আইটি সামগ্রী ক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রতিটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে ১৭টি অত্যাধুনিক মানের ল্যাপটপ ও অন্যান্য আইটি সামগ্রীর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় যুব সমাজকে আইসিটি শিক্ষা এবং শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা হবে। যার মাধ্যমে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড-কে কাজে লাগিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের দারিদ্র দূরীকরণসহ ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা হবে।
জানা গেছে, প্রকল্পটির মাধ্যমে সারা দেশের পাঁচ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঁচ হাজার “শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব” এবং স্থাপিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের মধ্য থেকে ৩০০টি সংসদীয় আসনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন “স্কুল অব ফিউচার” স্থাপন করা হবে।
৩০০টি মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলে বিভিন্ন ফ্রন্টইয়ার টেকনোলজিসহ ইন্টারএ্যকটিভ স্মার্ট বোর্ড, থ্রি-ডি প্রিন্টার, আরডুইনো স্টার্টার কিট, রোবোটিক্স ইন্সট্রুমেন্ট, প্রোগ্রামেবল প্লেয়িং ইন্সট্রুমেন্ট, এআর/ভিআর গিয়ারসহ অন্যান্য এ্যাডভান্সড প্রযুক্তির হার্ডওয়্যার স্থাপনের মাধ্যমেই এই “স্কুল অব ফিউচার” টি স্থাপন করা হবে।
Discussion about this post