অনলাইন ডেস্ক
জীবন্ত পোকামাকড় যার খাদ্য, তার নাম ‘সানডিউ’ বা ‘সূর্য শিশির’ উদ্ভিদ। কার্নিভরাস গোত্রের এ উদ্ভিদ ‘মাংসাশী পতঙ্গভুক’ হিসেবে পরিচিত। উদ্ভিদটি বিলুপ্তপ্রায়।
গোলাকার সবুজ থেকে লালচে রঙের থ্যালাসের মতো মাটিতে লেপটে থাকা উদ্ভিদটি মাংসাশী উদ্ভিদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রজাতি।’
চার-পাঁচ সেন্টিমিটার ব্যাসের উদ্ভিদটিতে লাল বর্ণের দু-তিন ইঞ্চি লম্বা পুষ্পমঞ্জুরি হয়। সংখ্যায় ১৫-২০টি তিন থেকে চার স্তরের পাতাসদৃশ মাংসল দেহের চারদিকে পিন আকৃতির কাঁটা থাকে। দেহের মধ্যভাগ অনেকটা চামচের মতো ঢালু থাকে।
এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- শীতের সকালে পড়া শিশিরে চকচক করে উদ্ভিদটি। তাতে পোকারা আকৃষ্ট হয়। পাতাগুলো থেকে ‘মিউসিলেজ সাবসট্যান্স’ নামে এক ধরনের আঠালো এনজাইম নিঃসৃত হয়। পোকাগুলো উদ্ভিদটিতে পড়লেই আটকে যায়। তখন মাংসল পাতার চারদিকের কাঁটাগুলো পোকাকে আঁকড়ে ধরে।
উল্লেখ্য, উদ্ভিদটি আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি স্থানে রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল জাদুঘরে এর একটি রেপলিকা রয়েছে। বাংলাদেশ বিজ্ঞান জাদুঘরের তথ্যমতে, অতীতে দিনাজপুর, রংপুর অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবেই এ প্রজাতির উদ্ভিদ জন্ম নিত। উদ্ভিদটিকে আপাতদৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর বা ক্ষতিকর মনে হলেও এর গুণাগুণ বিশ্লেষণ করে মানবজীবনে বা কৃষিতে কাজে লাগানো যায়।
Discussion about this post