বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
বিজ্ঞানীরা আমাদেরকে ব্ল্যাকহোলের ছবি দেখিয়েছেন খুব বেশিদিন হয়নি । তবে এবার প্রথমবারের মতো কসমিক জায়ান্টটির পিছনে কী ঘটে সেটি সবার সামনে আনলেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৮০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের পিছনে আলো দেখা ও ধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। খবর এনগ্যাজেট।
যুগান্তকারী এই ঘটনার মাধ্যমে কীভাবে আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে সেটি বোঝা সহজ হবে বলে মনে করছেন স্ট্যানফোর্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড্যান উইলকিনস। এছাড়া শত বছর আগে আইনস্টাইন যে আপেক্ষিকতা তত্ব দিয়েছিলেন সেটির সত্যতা মিললো।
গবেষকরা যখন করোনা নামে পরিচিত ব্ল্যাকহোল থেকে নির্গত এক্সরের একটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করছিলেন তখন কাকতালীয়ভাবে আলোটি সনাক্ত করা হয়। এটি ছোট ঝলকানি, যা উজ্জ্বল ঝলকের চেয়ে আলাদা রঙের ছিলো।
উইলকিনস বলেন, কোনো আলো ব্ল্যাকহোলে প্রবেশ করলে সেটি আর ফিরে আসে না, তাই আমরা ব্ল্যাকহোলের পিছনের কিছু দেখতে পারি না। কারণ ব্ল্যাকহোল তার চারপাশের চৌম্বকক্ষেত্রকে বাঁকায় এবং আলো ভিন্নদিকে প্রতিফলিত করে। ফলে সেটি আর ফিরে আসে না। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন তত্বের ‘মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের উপস্থিতিতে আলোর গতিপথ বেকে যায়’ বিষয়টি প্রমাণিত হলো।
সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলটি আমাদের সূর্যের চেয়ে এক কোটি গুন বড় এবং এটি আই জুইকি ওয়ান নামের একটি স্পাইরাল গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির এক্সএমএম-নিউটন এবং নাসার ন্যুস্টার স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্য বিজ্ঞানীরা এই আলো দেখতে পেরেছেন।
Discussion about this post