অনলাইন ডেস্ক
ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী পদক্ষেপ দেশকে ক্যাশলেস দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। যেখানে মানুষ দোকানে গিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে পেমেন্ট করবেন।
২৪ আগস্ট, রেমিটেন্স পাঠানোর প্লাটফর্ম ব্লেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন,‘ক্যাশলেস সোসাইটি আমাদের ভবিষ্যৎ। এটিই আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের নেক্সট স্বপ্ন। বাংলাদেশে সকল ট্রানজেকশান ক্যাশলেস হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে যাবে, তারা মোবাইলফোনে টাকা পাবে। তারা যখন টাকাটা খরচ করবে একটি দোকানে গিয়ে সেটাও তারা তার মোবাইলফোন থেকে পেমেন্ট করবে। তাদের হাতে আর ক্যাশ রাখার প্রয়োজন হবে না।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন,
আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ডিজিটাল পেপারলেস অফিস ওয়ার্ক করা পাশাপাশি আমরা একটি ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে এগিয়ে যাওয়া। সেখানে কিন্তু আমরা অভাবনীয় অগ্রগতি করেছি। আমাদের করোনাকালীন সময়ে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ওয়ালেটে ১০ কোটি মানুষ যুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যুক্ত হয়ে আইসিটি বিভাগ ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করে ফেলেছে উল্লেখ করে পলক বলেন, এই প্লাটফর্মে ১৫ টি ব্যাংক এবং ১ টি এমএফএস যুৃক্ত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যেই মুজিব বর্ষেই ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল প্লাটফর্ম আমরা উপহার দিতে পারবো দেশের মানুষকে যার ফলে আর্থিক লেনদেন আরো বেশি দ্রুততার সাথে স্বচ্ছতার সাথে নিশ্চিত করতে পারবো।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শুধুমাত্র ব্যাংক চালু থাকা অবস্থায় টাকা তোলা যেতো। এক্ষেত্রে ৩ কর্ম দিবসের প্রয়োজন হতো। ব্লেজের মাধ্যমে যেকোনো সময় ৫ সেকেন্ডে মাধ্যমে অর্থ তোলা যাবে ৩৫টি ব্যাংকের মাধ্যমে।
হোমপের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও রুবেল আহসান জানান, চলতি মাসের জুন মাস থেকে ‘ব্লেজ’ পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু করে। এসময় ২৩টি ব্যাংকে সফলতার সঙ্গে অর্থ লেনদেন করা হয়। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও ইউরোপিয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলো থেকে এই লেনদেন হয়েছে।
ব্লেজ সেবা ব্যবহার করে প্রতি লেনদেনে পাঁচলাখ টাকা পাঠানো যাবে। যোগ হবে দুই শতাংশ ইনসেন্টিভ।
Discussion about this post