অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার ঘোষণা হলো চতুর্থ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন । বিকেল পাঁচটায় অনলাইনে এ আয়োজন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব এন এম জিয়াউল আলম। অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড.মো.আখতারুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শামীম আহমেদ দেওয়ান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. লাফিফা জামান।
অনুষ্ঠানে মুনির হাসান বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে সফল হতে হলে তাদের দক্ষতাকে ক্রমাগত উন্নতি করতে হবে।
৪র্থ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের আয়োজক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক এবং বাস্তবায়ন সহযোগী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, পরীক্ষায় শুধু ভালো নম্বর পেলেই চলবে না। বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করতে হবে। আর এই সৃজনশীল কাজ করতে হলে রোবট অলিম্পিয়াডের মতো নানাবিধ কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৯০ এর দশকে আমি রোবট নিয়ে গল্প লিখতাম। আর আজ আমাদের দেশের বাচ্চারা নিজেরাই সেই রোবট তৈরি করছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক রোবট ব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশেও রোবট ব্যবহারের কাজ শুরু হয়েছে। রোবট এখন আর কল্পগল্প বা খেলনা জিনিস নয়। রোবট ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের দেশ আরো এগিয়ে যাবে। অনেকে মনে করেন, রোবট আসলে আমাদের বেকারত্ব বেড়ে যাবে। কিন্তু এর আগের তিনটি শিল্পবিপ্লবে আমরা দেখেছি, শিল্পবিপ্লবের সাথে সাথে কর্মসংস্থান বাড়ে। রোবট ব্যবহারেও বাংলাদেশের কর্মসংস্থান বাড়বে এবং বেকারত্ব দূর হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের ধারাবাহিক সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদেরকে রোবটিক্সের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে দেশে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২১। কোভিড-১৯-এর বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতাটি এবারও আয়োজিত হচ্ছে অনলাইনে।
Discussion about this post