অনলাইন ডেস্ক
কোনো প্রকারের সমস্যা ছাড়াই মহাকাশ ভ্রমণের প্রথম দিন পার করলেন ৪ সাধারণ মানুষ। যারা পেশাদার নভোচারি না হয়েও মহাকাশে গেছেন স্পেস এক্সের ‘ইন্সপিরেশন ফোর’ রকেটে চড়ে। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছেন তারা। স্পেস এক্স জানিয়েছে, সবাই ভালো আছে সুস্থ আছে।
আমেরিকার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে ‘ইন্সপিরেশন ফোর’ যাত্রা শুরু করার পর, বৃহস্পতিবার মিশন নিয়ে প্রথমবার কোন আপডেট দিলো স্পেস এক্স। তাতে বলা হয়েছে, চার মহাকাশ পর্যটন বেশ সুস্থ আছেন, সুখে ভাসছেন এবং স্বাচ্ছন্দ্যে বিশ্রাম করছেন।
এলন মাস্কের কোম্পানি জানিয়েছে, চার আমেরিকান মহাকাশ পর্যটক সাড়ে পাঁচবার পৃথিবী প্রদিক্ষণ করেছেন। তারা তাদের বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রথম পর্ব শেষ করেছেন। এবং ঘুমাতে যাবার আগে কিছু খাবার উপভোগ করেছেন।
এলন মাস্ক এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন তিনি নিজেও চার নভোচারির সঙ্গে কথা বলছেন এবং সবাই ভালো আছেন। ঘুম থেকে ওঠার পর এই চার আমেরিকান রকেটের সঙ্গে লাগানো বিশাল আকারের একটি ডক দেখতে যাবেন। আগামীতে এই ডকেই ভিড়বে মহাকাশ যান।
‘ইন্সপিরেশন ফোর’ রকেটে করে বিলিয়নেয়ার জ্যারেড আইজাকম্যান, চিকিৎসক সহকারি হেইলি আর্সেনউক্স, ভূ-বিজ্ঞানী সিয়ান প্রক্টর এবং মহাকাশ তথ্য প্রকৌশলী ক্রিস সেমব্রোস্কি বর্তমানে ৬৯০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করছেন।
এই উচ্চতা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের চেয়ে মহাকাশে আরো গভীর, যা ৪২০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে। শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালে মহাকাশে স্থাপিত হাবল টেলিস্কোপের রক্ষণাবেক্ষণ মিশনের পর পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে কোন মহাকাশচারী অবস্থান করছে।
বিশ্বের প্রথম মহাকাশ পর্যটকদের নিয়ে রকেট মহাকাশে গেলেও, এই মিশনের লক্ষ্য হচ্ছে সেন্ট জুডস চিলড্রেনস রিসার্চ হাসপাতালের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা এবং নভোচারিদের শরীরে ভেতর মহাকাশের জৈবিক প্রভাবগুলি পর্যবেক্ষণ করা।
তবে, এই মিশনের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে মহাকাশে বাণিজ্যিক ভ্রমণে মানুষকে উৎসাহিত করা। কারণ, স্পেস এক এই মহাকাশে যাত্রী আনা নেয়া করা নতুন বাণিজ্যে পৃথিকৃৎ হতে চাইছে।
‘ইন্সপিরেশন ফোর’ রকেটে চড়ে তিন দিনের মহাকাশ ভ্রমণ শেষে শনিবার ফ্লোরিডার উপকূলে ফিরে আসার আগে চার মহাকাশ পর্যটক কয়েক মিনিটের ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা ও মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখার বিরল সাক্ষী হবেন।
Discussion about this post