বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
পৃথিবীকে প্রতিনিয়েই পর্যবেক্ষণ করছে নাসার সব স্যাটেলাইটসহ আন্তর্জাতিক সব স্পেস স্টেশন। সে সঙ্গে চলছে মহাকাশ আর আকাশগঙ্গা ছায়াপথ নিয়ে গবেষণাও।
এবার শুধু পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন তদারকির জন্য আলাদা এবং সবচেয়ে শক্তিশালী মহাকাশযান পাঠিয়েছে নাসা। ‘ল্যান্ডসেট নাইন’ নামের এ মহাকাশযান পর্যবেক্ষণ করবে পৃথিবীর অবশিষ্ট বনাঞ্চল, জলবায়ু পরিবর্তন আর পরিবেশদূষণ।
ল্যান্ডসেট ৯ পৃথিবীর কক্ষপথের এমন স্থানে থাকবে যেন উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে ৭০৫ কিলোমিটার ওপরে থাকবে। এ স্যাটেলাইট দুটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রবহন করবে। একটি ‘অপারেশনাল ল্যান্ড ইমেজার ২’ আরেকটি ‘থার্মাল ইনফারেড সেন্সর ২’। পৃথিবীর কোনো জলাধার কিংবা বনে যদি মিনিটের মধ্যেও কোন পরিবর্তন হয়, এ যন্ত্রগুলোতে সেই পরিবর্তন ধরা পড়বে।
এই মিশনের বিজ্ঞানীরা জানান, পৃথিবীর সায়েন্স প্রোগ্রামের জন্য পরিচালিত হবে ল্যান্ডসেট ৮ আর ৯। এই স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর গ্লেসিয়ারগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবে।
বিজ্ঞানীরা জানান, এই স্যাটেলাইট দুটি পৃথিবীর কৃষিকাজ, ভূমি ব্যবহার, ভূপৃষ্ঠের পানি, উপকূলসহ জলবায়ু পরিবর্তন আর পরিবেশ দূষণের যত ক্ষেত্র আছে, সব পর্যবেক্ষণে রাখবে। স্যাটেলাইটগুলোই তখন মানুষের চেয়ে বেশি বিস্তারিত তথ্য দেবে, পৃথিবীতে কি হচ্ছে কেন হচ্ছে।
গত ৫০ বছরে পৃথিবীর পরিবর্তন সত্যি চোখে পড়ার মতো। নাসার ল্যান্ডসেট ৯ মিশনের বিজ্ঞানী জেফ মাসেক বলেন, গত অর্ধশতকে অনেক বেশি দাবানল, হারিকেন, পঙ্গপালের আক্রমণমসহ প্রাকৃতিক অনেক দুর্যোগ দেখেছে মানুষ। দশকের পর দশক ধরে একটু একটু করে ধ্বংস হচ্ছে পৃথিবীর বাস্তুসংস্থান।
Discussion about this post