প্রযুক্তি ডেস্ক
আইএসপি সংযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সেবার সংযোগ ৩ দিন বিচ্ছিন্ন কিংবা সমস্যা হলে গ্রাহককে সে মাসের বিল দিতে হবে না বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বুধবার (৬ অক্টোবর) বিটিআরসি এই সংক্রান্ত নির্দেশনা সব আইএসপি, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইএসপিএবি, আইআইজিএবি ও এনটিটিএনকে পাঠিয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ট্যারিফ অপরিবর্তিত রেখে কেবল গ্রেড অব সার্ভিস এবং এর শর্ত সংশোধন করে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আইএসপির ক্ষেত্রে ১ দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ৫০ শতাংশ মাসিক বিল (পূর্বের নির্দেশনায় ৭ দিন ছিল), ২ দিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ২৫ শতাংশ মাসিক বিল (পূর্বের নির্দেশনায় ১৪ দিন ছিল) এবং ৩ দিন অব্যাহতভাবে (পূর্বের নির্দেশনায় ২০ দিন ছিল) ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে ওই মাসে কোনো মাসিক বিল গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া যাবে না।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, গ্রাহক সেবা ও সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পেনাল্টি শর্তসহ কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে বর্ণিত গ্রেড এ, বি এবং সি অনুযায়ী গ্রেড অব সার্ভিস বজায় রাখতে প্রতিটি আইএসপি বাধ্য থাকবে।
সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮-এর প্রতিশ্রুত ‘ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসংগত পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে’- বাস্তবায়নের জন্য একটি বাস্তবসম্মত এবং গ্রাহক বান্ধব ইন্টারনেট ট্যারিফ প্রণয়নে সারা দেশের জন্য ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফ জারি করা হয়। ট্যারিফের সঙ্গে গ্রাহক সেবা ও সেবার মান নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় জরিমানা শর্তসহ কোয়ালিটি অব সার্ভিস অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি সেবার মানদণ্ড নির্ধারণে গ্রেড অব সার্ভিস তৈরি করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, ট্যারিফের বাইরে অনুমোদন ছাড়া কোনো সেবা পরিচালনা করলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, গ্রাহক অভিযোগ (টিকিটিং নম্বরসহ) দ্রুততার সঙ্গে সমাধান করতে হবে। গ্রাহক কোনো অভিযোগ জানালে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া অভিযোগ ও অভিযোগ সমাধানের তথ্য কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
Discussion about this post