বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
মহাকাশের অন্ধকার অলিগলিতে কোথায় কোনো অজানা জিনিস লুকিয়ে রয়েছে তার সম্পূর্ণ খোঁজ আজও নেই বিজ্ঞানীদের হাতে। সহজ কথায় আমাদের মহাবিশ্বে কোথায় রহস্যময় জিনিস আছে, মানুষ লাখ লাখ বছরেও তা পুরোপুরি শনাক্ত করতে পারেনি আজও।
এবার সৌরজগতের বাইরে ভিন্ন কোনো নক্ষত্রমণ্ডলীর অজানা কোনো জগৎ থেকে পৃথিবীতে এল অদ্ভুত এক রেডিও সিগন্যাল (বেতার তরঙ্গ), যা নিয়ে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রেডিও অ্যান্টেনাতে ধরা পড়েছে একযোগে ১৯ নক্ষত্রের ভিন্ন ভিন্ন রেডিও সংকেত। এদিকে মঙ্গল হোক বা কোনো অন্য গ্রহ, পৃথিবী বাদে অন্যত্র আর কোনো জায়গায় প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না, তা জানতে মানুষের কৌতূহল দীর্ঘদিনের। অন্যদিকে মহাকাশ বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেই ক্রমেই এগিয়েছে মানুষের জয়যাত্রা। আর ততই সুগম হয়েছে অজানাকে জানা আর অচেনাকে চেনার পথ। উন্মোচিত হয়েছে নতুন নতুন খোঁজ। আর তাতেই দিশা খুঁজে পাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
এ অবস্থায় এবার ভিন নক্ষত্র সমাবেশ থেকে ধেয়ে আসা রেডিও সিগন্যাল তৈরি করেছে নতুন কৌতূহলের বাতাবরণ। ফের প্রশ্ন উঠছে এ তবে কী প্রাণেরই সংকেত? তবে কী পৃথিবী ছাড়াও অন্যত্র রয়েছে প্রাণের সংকেত? সূত্রের খবর, সম্প্ৰতি এই নতুন রেডিও সিগন্যাল গুলি ধরা পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ লো ফ্রিকোয়েন্সি অ্যারে-তে (লোফার)। এটি রয়েছে নেদারল্যান্ডসে।
ডাচ ন্যাশনাল অবজারভেটরির বিশেষজ্ঞদের একটি দল এরই মধ্যেই এই বিষয়ে জোরদার গবেষণা শুরু করে দিয়েছে বলে খবর। গবেষণা চালাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড এর গবেষকেরাও। তবে রহস্যময় এই সিগন্যালের অর্থ উদ্ধারে এখনও সক্ষম হননি বিজ্ঞানীরা। তবে মহাকাশ গবেষণায় রেডিও সিগন্যাল অধ্যয়নে এই পদক্ষেপ যে সুদূরপ্রসারী ছাপ রাখতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
এদিকে এই গবেষণার অন্যতম প্রধান ডা. বেঞ্জামিন পোপ এই নতুন আবিষ্কারে অনেকটাই নতুন আশা দেখতে পাচ্ছেন।
এর আগে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা স্থিতিশীল রেডিও নিঃসরণে শুধু নিকটতম নক্ষত্রগুলো শনাক্ত করতে সক্ষম ছিলেন, যেমন প্রক্সিমা সেন্টৌরি, যা পৃথিবী থেকে মাত্র চার আলোকবর্ষ দূরে, কিন্তু এখন নতুন আবিষ্কারের ফলে আরও একাধিক নতুন দিক উন্মোচিত হবে বলে মত বেঞ্জামিনের।
সূত্র: ওয়ানইন্ডিয়া।
Discussion about this post