বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
দূর-দূরান্তের খবর মুহূর্তেই যেখানে পাওয়া যায় সেই জায়গাটি হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। এবার সেই ১৭ বছরের পুরোনো নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) নাম পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য ভার্জ।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে এ পরিবর্তন আসতে পারে। ফেসবুকের নতুন নাম হতে পারে মেটাভার্স। মূলত নিজেদের পুনর্গঠিত করতেই ফেসবুকের এ নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর ফেসবুক তাদের কর্মীদের নিয়ে একটি সম্মেলন করে যার নাম ‘কানেক্ট’। চলতি বছরের সম্মেলন আগামী ২৮ অক্টোবর হওয়ার কথা। ওই সম্মেলনে ফেসবুকের প্রধান কর্তা মার্ক জাকারবার্গ নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। তার আগেই হয়ত নতুন নাম জানা যেতে পারে।
মেটাভার্স নামের অর্থ হলো একটি ভার্চ্যুয়াল জগৎ। যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই এ জগতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে। এ জগৎ বাস্তবতার সঙ্গে ডিজিটাল সংমিশ্রণ। ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি অথবা অগমেন্টেড রিয়েলিটির মাধ্যমে গড়ে ওঠার কারণে এই জগতে ব্যবহারকারীদের নিজেকে আরও জীবন্ত মনে হবে।
এদিকে সম্প্রতি ফেসবুক অনেক ব্যবহারকারীকে নতুন একটি নোটিফিকেশন দিয়েছে। ওই নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে ‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’ নামে একটি ফিচার ‘টার্ন অন’ বা ‘চালু’ না করলে অ্যাকাউন্টটি লক হয়ে যাবে। নোটিফিকেশন পাবার পর ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ফেসবুক প্রোটেক্ট কী এবং কীভাবে কজ করে।
এ বিষয়ে ফেসবুকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে, ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে ফেসবুক প্রোটেক্ট নামে নতুন একটি ফিচার আনছে তারা। এটি একটি ভলানটারি (ঐচ্ছিক) প্রোগ্রাম যা নির্বাচনী প্রার্থী, তাদের প্রচারণা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অ্যাকাউন্টকে বাড়তি সুরক্ষা দেবে।
প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির নির্বাচনের সময় সেখানকার প্রার্থীদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সুরক্ষায় এই প্রোগ্রামটি তৈরি করা হয়েছিল। পরে এটি কানাডাতেও চালু করা হয়। তবে ২০২১ সালে এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য সরবরাহ করা হবে বলেও জানানো হয়। এ বিষয়ক আপডেটও ফেসবুকের মাধ্যমেই জানানো হবে বলে ফেসবুক জানায়।
নতুন এই ফিচারের বিষয়ে ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপনার অ্যাকাউন্টটি অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে আপনার শক্তিশালী নিরাপত্তা দরকার। নতুন এই ফিচারে মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবহার আরও জোরদার করা সম্ভব।
ফেসবুক প্রোটেক্ট চালু করার সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে লার্ন মোর অপশনে গেলে সেখানে ফেসবুক প্রোটেক্ট কেন জরুরি সে বিষয়ে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, হ্যাকাররা সব সময় সেই অ্যাকাউন্টগুলোর প্রতিই আগ্রহী হয়, যেগুলোতে অনেক বেশি ফলোয়ার থাকে, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ পেইজ পরিচালনা করে কিংবা যার কমিউনিটি সিগনিফিক্যান্স বা গুরুত্ব রয়েছে। এ ধরনের টার্গেটেড অ্যাটাক বা উদ্দেশ্যপূর্ণ হামলা রোধ করতেই উন্নত নিরাপত্তার এই প্রোগ্রামটি চালু করার অনুরোধ করেছে ফেসবুক।
Discussion about this post