বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
এই প্রথমবারের মতো বৃহস্পতির কক্ষপথকে ঘিরে ঘুরতে থাকা গ্রহাণু ট্রোজানের অনুসন্ধানে যাচ্ছে নাসার লুসি মিশন। দীর্ঘ ১২ বছরের এই সফরের জন্য উৎক্ষেপণ হতে যাচ্ছে নাসার লুসি স্পেসক্রাফট।
এর মাধ্যমে ট্রোজানের গঠন, অবস্থানসহ সৌরজগত সম্পর্কে আরো বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে বলে মনে করছে নাসা। এদিকে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে জায়গা না পেয়ে তৈরি করা নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন কোর মডিউল তিয়ানহে পৌঁছেছেন ৩ চীনা নভোচারী।
সফরটা কোনো গ্রহ নয়, ট্রোজান নিয়ে। বৃহস্পতির কক্ষপথে থাকা গ্রহাণু ট্রোজান নিয়ে প্রথমবারের মতো দীর্ঘ ১২ বছরের এক মিশন শুরু করতে যাচ্ছে নাসা। সৌরজগত ঠিক কিভাবে তৈরি তা জানার জন্য আরেকধাপ এগোতে সাহায্য করবে এই মিশন।
বৃহস্পতি ও মঙ্গলের মাঝে অসংখ্য গ্রহাণু সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে। এদের মধ্যে যেসব গ্রহাণু বৃহস্পতির কক্ষপথকে ঘিরে ঘুরতে থাকে তাদেরকে বলা হয় ট্রোজান।
এই ট্রোজানদের গঠন, অবস্থানসহ, সৌরজগত সম্পর্কে আরো বিস্তারিত পর্যবেক্ষণে সহায়তা করবে এই লুসি মিশন, এমনটাই মনে করছেন নাসা কর্তৃপক্ষ।
পরিকল্পনা রয়েছে, স্পেসক্রাফটটি উৎক্ষেপণের পর প্রথমে পৃথিবী ঘিরে দু’বার প্রদক্ষিণ করবে এবং তারপর ট্রোজানের দিকে ছুটে যাবে।
এছাড়া ২০২৫ সালে বৃহস্পতি ও মঙ্গলের মাঝের একটি গ্রহাণুর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্পেসক্রাফটির যন্ত্রাংশ আরেকবার পরীক্ষা করানো হবে। ২০৩৩ সাল নাগাদ পুরো কাজ শেষ হতে পারে বলে আশা করছে নাসা।
এদিকে, নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন কোর মডিউল তিয়ানহে পৌঁছেছেন তিন চীনা নভোচারী। মহাকাশে নিজস্ব স্টেশন বানাতে নভোচারীবাহী চীনের দ্বিতীয় অভিযান এটি।
শেনঝো-১৩ এর যাত্রায় সফলভাবে স্টেশনে অবতরণ করেন তারা। নভোচারীরা ফিরে না আসা পর্যন্ত নিজস্ব কক্ষপথেই অবস্থান করবে শেনঝো-১৩ মহাকাশযানটি।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে চীনের অংশগ্রহণে কোনোভাবেই সম্মত হয়নি যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে জায়গা না পেয়ে নিজেরাই এককভাবে একটি মহাকাশ স্টেশন তৈরিতে উদ্যোগী হয় চীন।
Discussion about this post