বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
গত ৬ মাসে ১৬ লাখ ফিশিং বা প্রতারণামূলক ই-মেইল বন্ধ করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। সাইবার অপরাধীরা তাদের ম্যালওয়ার ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে এই ই-মেইলগুলো ব্যবহার করতো। এসব ই-মেইলের উদ্দেশ্য ছিল ইউটিউব অ্যাকাউন্ট চুরি করা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বাড়ানো।
ইউটিউব, জিমেইল, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি, সাইবারক্রাইম ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ ও সেফ ব্রাউজিং টিমের পূর্ণ সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি জি-মেইল থেকে ৯৯ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত ফিশিং ই-মেইল অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগলের থ্রেট অ্যানালাইসিস গ্রুপ।
এক ব্লগপোস্টে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, আমরা ১৬ লাখ ফিশিং মেসেজ ব্লক করার পাশাপাশি ৬২ হাজার সেফ ব্রাউজিং ফিশিং পেজের জন্য সতর্কবার্তা পাঠিয়েছি। এছাড়া আমরা ২ হাজার ৪০০ ফাইল ব্লক করেছি এবং ৪ হাজার অ্যাকাউন্ট সফলভাবে পুনরুদ্ধার করেছি। এছাড়া আমরা লক্ষ্য করেছি, আমাদের তৎপরতার কারণে অপরাধী গ্রুপটির মনোযোগ জিমেইল থেকে অন্যান্য ই-মেইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে ঘুরে গেছে।
গুগল আরও বলেছে, ২০১৯ সাল থেকে আমাদের টিম আর্থিক উদ্দেশ্যমূলক ফিশিং ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে কাজ করছে। হ্যাকাররা কুকি থেফট ম্যালওয়ারের মাধ্যমে ইউটিউব ব্যবহারকারীদের টার্গেট করতো।
হ্যাকাররা ব্যবহারকারীদের কাছে ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস, ভিপিএন, মিউজিক প্লেয়ার ও ফটো এডিটিং সফটওয়্যার এবং অনলাইন গেমসের মতো বিভিন্ন প্রলোভনমূলক ই-মেইল পাঠায়। এসব ই-মেইলে ক্লিক করার ফলে তাদের ইউটিউব চ্যানেলের দখল নেয় হ্যাকাররা। পরবর্তীতে সেগুলো তারা বিক্রি করে দেয়, অথবা ক্রিপ্টোকারেন্সি-কেন্দ্রিক প্রতারণার জন্য ব্যবহার করে।
অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে গুগল। অপরিচিত কোনও ই-মেইলে ক্লিক না করার পাশাপাশি ‘মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ ফিচারটি চালু করলে অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
সূত্র: গ্যাজেটস নাও
Discussion about this post