অনলাইন ডেস্ক
ছোট-বড় তিন শতাধিক নদী বিধৌত ব-দ্বীপ বাংলাদেশ। প্লাবনভূমিতে বসবাস এখানকার ৭১ শতাংশ মানুষের। তবে এবার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে তারা। এখন তিন দিন থেকে তিন ঘণ্টা আগেই মুঠোফোনে মিলছে বন্যার পূর্বাভাস।
এক বছর পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পর ২৪ অক্টোবর এই প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সময় ১০ দিনে এগিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২০ অক্টোবর তিস্তা পাড়ের তিন হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে খুদে বার্তায় পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব হয় বলেও বক্তব্যে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
রাজধানীর পান্থপথের পানি ভবনে ডিজিটাল মাধ্যমে বন্যার পূর্বাভাস দেয়ার প্রযুক্তির এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, রাজবাড়ীর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন এবং এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ডিজিটাল এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নে এটুআই এর সঙ্গে সহযোগিতা করেছে গুগল। নিউইয়র্ক থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে জনকল্যাণে এই কাজে সংযুক্ত হওয়ার কথা জানান গুগল ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউসি মাতিয়াস ।
একইভাবে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী এই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বক্তব্যে বন্যাপূর্বাভাসের ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ২০২০ সালে পুশ-নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ১৪ জেলার ৩৮টি উপজেলায় এই কার্যক্রম সফল হওয়ার পরই দেশজুড়ে এই সেবা চালু করা হলো বলে জানিয়েছেন তিনি।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মাদ মহসিন এবং পানি সম্পদ বিভাগের প্রকৌশলীরা।
Discussion about this post