অনলাইন ডেস্ক
এখন থেকে দেশে টিকটক ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। টিকটক ব্যবহারকারীরা কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পর চাইলেই এখন আর নিজেদের লুকাতে পারবে না। পুলিশের এ বিশেষ শাখার কাছ থেকে পাওয়া কনটেন্ট রিমুভ্যাল রিকোয়েস্ট এবং সেটি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে টিকটক কর্তৃপক্ষ।
শর্ট-ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ‘টিকটক’কে বাংলাদেশে নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহারের জন্য সিআইডি ও টিকটক কর্মকর্তাদের মধ্যে গতকাল বুধবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে সিআইডির সাইবার ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, টিকটকের সাউথ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ম্যানেজার প্রাচী ভূচার সঙ্গে সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সিআইডির কাছ থেকে পাওয়া টিকটক ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্যপ্রাপ্তির অনুরোধ সম্পর্কিত বিষয় এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। সিআইডির কাছ থেকে পাওয়া কনটেন্ট রিমুভ্যাল রিকোয়েস্ট এবং সেটি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপও নেবে টিকটক।
তিনি আরও বলেন, প্রাণবন্ত ও বৈচিত্র্যময় কমিউনিটির জন্য টিকটক এখন থেকে একটি নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য প্লাটফর্ম হিসেবে পরিচিতি পাবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার রোধেও সিআইডির সঙ্গে কাজ করবে টিকটক।
বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ বলেন, টিকটক এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেটি সৃজনশীল অভিব্যক্তি ও আনন্দ প্রকাশকে অনুপ্রাণিত করে। গুজব কিংবা সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হয়, এমন টিকটক ব্যবহারকারীরা এখন আর নিজেকে লুকিয়ে রেখে অপরাধমূলক কাজ করতে পারবে না। এসব বিষয়ে সিআইডির চাহিদা মোতাবেক টিকটক কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবে।
সম্প্রতি এক শ্রেণির অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে টিকটক ব্যবহার করে অসামাজিক কার্যকলাপ, নারীপাচার ও গুজব কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। সিআইডিসহ র্যাব ও পুলিশ এসব চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা শুরু করে। এ বছর টিকটকের ফাঁদে রাজধানীর মগবাজারের এক তরুণীদের ভারতে পাচার হওয়ার ঘটনায় আলোচনার ঝড় উঠে।
Discussion about this post