প্রযুক্তি ডেস্ক
অনেকের চলার পথের বাহন হচ্ছে মোটরসাইকেল। রাস্তার ঝামেলা, গণপরিবহন ওঠার ঝামেলা এড়াতে অনেকেই মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকেন। আর হেলমেট বাইকারের জন্য সবচেয়ে জরুরি। এছাড়া, ভালো স্টাইলিশ হেলমেটের দিকেও নজর থাকে বাইকপ্রেমীদের।
বায়ু চলাচল
বাইক চালানোর সময় হেলমেটের ভেতরে বায়ু চলাচল করাটা জরুরি। এজন্য হেলমেটের ছিদ্রগুলো দ্বারা মাথার ওপর বায়ু চলাচল করে থাকে। যার কারণে বাইকারের মাথা ঠান্ডা রাখে এবং বাইক চালানোর ক্ষেত্রে আরামদায়ক একটি অনুভূতি দিয়ে থাকে। হেলমেটে যত বেশি ছিদ্র থাকবে হেলমেট তত বেশিই হালকা হবে।
মুখোশ
বাইক চালানোর সময় কিছু রাইডার সুর্যের আলো থেকে রক্ষা পেতে সুর্যের আলো প্রতিরোধক মুখোশ হেলমেটে যুক্ত করে থাকে। এটি অবশ্যই মাউন্টেন বাইকারদের জন্য অতি সাধারণ একটি বিষয়। একটি ভিসরস যেমনি হোক না কেন, খুবই সামান্য ওজন এবং সামনের বাতাসের চাপ কমিয়ে রাখে।
মুখমন্ডলের নিরাপত্তা
মাউন্টেন রাইডারদের হেলমেট এ চারপাশ মুড়ানো একটি চিবুক বার রয়েছে, যা মাউন্টেন ও পার্ক রাইডারদের মুখমন্ডল নিরাপত্তা প্রদান করে।
স্ট্র্যাপ
হেলমেটের স্ট্র্যাপ সিস্টেম খুবই আরামদায়ক। এটি থাকলে হেলমেট আটকাতে ও খুলতে সহজ হয়।
হেয়ারপোর্ট
কিছু কিছু হেলমেট এ লম্বা চুলের জন্য পেছনের দিকে ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রগুলোকে হেয়ারপোর্ট বলা হয়ে থাকে।
হেলমেটের ওজন ও দীর্ঘস্থায়িত্ব
যেসব হেলমেট ওজনে যত বেশি হালকা, সেসব হেলমেট ততবেশি ভালো। তবে, এক্ষেত্রে দেখতে হবে হেলমেট মজবুত কিনা।
গ্লাসের মান
গ্লাসের মান অবশ্যই ভালো হতে হবে। স্ক্র্যাচ রেজিস্ট্যান্স হলে ভালো হয়। তাহলে সহজে দাগ পড়বে না।
হেলমেট ও গ্লাসের রং
গরমকালের জন্য সাদা এবং শীতকালের জন্য কালো রং এর হেলমেট কিনতে পারেন। গ্লাস নির্বাচন করার সময় হালকা কালো বা ওয়াটার কালার গ্লাস নিতে পারেন। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন তা হলো বেশি কালো গ্লাস বা মারকারি গ্লাস পরিহার করুন। কারণ মারকারি গ্লাসগুলো দিয়ে রাতের বেলা বাইক চালাতে পারবেন না।
হেলমেটের সঠিক সাইজ নির্ধারণ
যখন হেলমেট বাছাই করবেন, তখন এটি আরামদায়ক হওয়া অত্যাবশ্যক। হেলমেট ছোট, মাঝারি এবং বড় বা বর্ধিত মাপের তৈরি হয়ে থাকে। আপনার প্রয়োজনীয় আকার খুঁজে পেতে, একটি কেপ দ্বারা আপনার মাথার সর্ববৃহৎ অংশ পরিমাপ করুন। অথবা সোজা দুই প্রান্ত বিশিষ্ট মাপকাঠি দিয়ে দৈর্ঘ্য পরিমাপ করুন।
সূত্র: দ্য রাইডার
Discussion about this post