প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রজেক্ট ভিত্তিক শিক্ষা, ফ্লিপ ক্ল্যাস ও অ্যক্টিভ লার্নিং দর্শন নিয়ে গড়ে তোলা শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনলোজি (শিফট) থেকে ২০৪১ সালে বাংলাদেশের জুকার বার্গ, ইলন মাস্করা প্রযুক্তি বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। এজন্য আজকের দিনের জীবন যাপনে ‘অক্সিজেন’ এর ভূমিকায় অবতীর্ণ ‘আইসিটি’ শক্তিকে ধারণ করে সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিল্প খাতকে সমন্বয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার( ১৩ফেব্রুয়ারি ) আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন আইটি প্রতিযোগিতা জয়ী ৪৩ জন বিজয়ীদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে এমন আশাবাদের কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
এক সাথে উদ্ভাবনার মধ্যে দ্রুত বহুদূর যেতেই সব আয়োজন বলে জানান পলক। বক্তব্যে ব্রেইন ড্রেইন শুণ্যে নামিয়ে আনতে এরই মধ্যে ‘হাই প্রোফাইল ফেলোশিপ’ চালু করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যারা ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট যারা গুগল,মাইক্রোসফটে চলে যাচ্ছে তাদের মেধা বাংলাদেশে কাজে লাগাতে এই প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
ফেলোশিপটি যেন সদ্য স্নাতকদের পাশাপাশি বিভিন্ন আইটি সোসাইটির মধ্যে দেয়ার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পলক বলেন, “আমরা চাই হাইপ্রোফাইল মেধাবীরা যেনো বাংলাদেশে অন্তত এক বছর সময় দেয়। আবেদন করে যারা পাবেন না তারা মনের দুঃখে গুগল, ফেসবুকে যেতে পারেন।”
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড.মোহাম্মাদ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মাদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাফিফা জামাল ও আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
বক্তব্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মেধাবী তরুণদের কৃতিত্বে কীভাবে প্রতিবেশী ভারতের কানপুরের উৎসব তাদের জন্য শোকে পরিণত হয় সেই স্মৃতি তুলে ধরেন ড. কায়কোবাদ।
তিনি বলেন, “আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তিতে মেধাবী হলেও তারা আজ বাংলাদেশে কাজ করে এদেশের অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করবো দেশের বড় বড় প্রকল্পগুলোতে যেনো আইটি’র অংশ বাংলাদেশের তরুণদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। তাহলে তাদের মধ্যে দেশপ্রেম আরো বাড়বে।”
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্লক চেইন অলিম্পিয়াড চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ এন করিম,বিসিএস সভাপতি শাহীদ উল মুনীর, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, সিএসআইডি পরিচালক জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ এনামুল কবির। বক্তব্যের সময় গত বছরে আইসিটি বিশ্বে দেশের জোরালো অবস্থান তুলে ধরে বিশ্বয়ীদের তথ্য উপস্থাপন করেন তিনি।
এছাড়াও সম্মাননা প্রাপ্তদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোবট অলিম্পিয়াডে স্বর্ণজয়ী জাইমা যাহিন ওয়ারা এবং আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ‘এশিয়া ওয়েস্ট রিজিওন’র চ্যাম্পিয়ন বুয়েট দলের সদস্য এইচ এম আশিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গ্লোবাল আইটি প্রতিযোগিতায়, ৪টি ক্যাটাগরির মধ্যে ৫ জন, ইন্টারন্যাশনাল রোবট অলিম্পিয়াডে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৯ জন, ইন্টারন্যাশনাল কলিজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (আইসিপি) ওয়ার্ল্ড ফাইনালসে ২টি ক্যাটাগরিতে ৬ জন, ইন্টারন্যাশনাল ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড জয়ী ৩ জন বিজয়ীসহ প্রত্যেককে ওয়ালটন ল্যাপটপ, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
Discussion about this post