অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্পের উদ্যোগে বাংলা ভাষাভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন টেকনোলজি তৈরি ও বাংলা এনএলপি গবেষণায় উৎসাহ দিতে ‘বাংলার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় তরুণ গবেষক ও ডেভেলপারদের কাছে বাংলা ভাষাভিত্তিক ‘ডেটাসেট’, ‘মডেল’ কিংবা ‘ওয়ার্কিং-প্রটোটাইপ আহবান করা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ বিচারক প্যানেল প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত ১৬১টি উদ্ভাবনী আইডিয়ার মধ্য থেকে তিন ধাপে শীর্ষ ১০ প্রকল্প নির্বাচন করেন।
নির্বাচিত ১০টি প্রকল্প হলো- এক্সএমএল ইন্ডিক দলের ‘ভারতীয় ভাষাসমূহের মডেলিং’, সাস্ট ড্রিমার্স দলের ‘এনএলপি বাংলা টুলকিট’, অভিযাত্রিক দলের ‘বাংলা হাতের লেখাকে কম্পোজে রূপান্তর’, ইন্টেলিজেন্ট মেশিনস লিমিটেডের ‘রশিদে লিখিত বাংলা হাতের লেখার রিডিং’, অনুমিতি দলের ‘ন্যাচারল ল্যাংগুয়েজ ইনফারেন্স ডেটাসেট’, বিয়ন্ড দ্য হিলস দলের ‘বাংলাদেশের ইন্ডিজেনাস কমিউনিটির জন্য অনুবাদ টুলস তৈরি’, একুশ দলের ‘বাংলা হাতের লেখা ডেটাসেট’, ড্যাব দলের ‘বাংলা অথরশিপ অ্যাট্রিবিউশন’, রক্তিম দলের’ বাংলা এনইআর ডেটাসেট’ এবং ইনোভেশন গ্যারেজের ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ডক-রিডার’। ‘হাতের লেখা ও প্রিন্টেড ডকুমেন্টে বাংলা বর্ণ শনাক্তকরণ’ প্রকল্পের জন্য ‘অভিযাত্রিক’ দলকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এক লাখ টাকা সহ শীর্ষ ১০ প্রকল্পকে তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ার মিলনায়তনে ‘বাংলার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলগুলোর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম। তিনি বলেন, এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ১৬১টি প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তার মধ্যে ১০টি বাছাই করা হয়েছে এখানে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলের সভাপতি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাবিল মুহাম্মদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক (গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়ন) এহছানুল পারভেজ।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, বাংলা ভাষাকে বলা হয় লো রিসোর্স ল্যাংগুয়েজ। কী অপমান। এই অপমান থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি, একটা সময় আসবে যে, আমাদের বলতে হবে না, বাংলা ভাষা লো রিসোর্স ল্যাংগুয়েজ।
Discussion about this post