অনলাইন ডেস্ক
স্মার্টফোন এখন সবার নিত্যদিনের সঙ্গী। সারাক্ষণই কোনো না কোনো কাজে স্মার্টফোনে ব্যস্ত থাকছেন কমবেশি সবাই। এখন প্রায় সব কাজই ঘরে বসে স্মার্টফোনেই করা যায়। ব্যাংকের লেনদেন থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, পানি কিংবা গ্যাস বিল সবই দেওয়া যায় ফোনের মাধ্যমেই।
অনেকেই এখন বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। বাড়তি নিরাপত্তার জন্যই মূলত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। তবে সেই পাসওয়ার্ড নিরাপদ রাখা এখন মুশকিলের ব্যাপার। একবার পাসওয়ার্ডের তথ্য হাতাতে পারলে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের দখলে।
> অনেক সময় পাসওয়ার্ড চুরি করার জন্য হ্যাকাররা প্রচলিত সোশ্যাল মিডিয়ার মতো দেখতে নকল পেজ তৈরি করে। এই ধরনের পেজে লগইন করতে গেলেই চুরি হয়ে যেতে পারে পাসওয়ার্ড। প্রত্যেক ওয়েবসাইটের নিজস্ব একটি মৌলিক ঠিকানা থাকে। এই ঠিকানা ইউআরএলে লেখা থাকে। এই ধরনের হ্যাকিং থেকে বাঁচতে লগ ইন করার আগে ভালো করে ইউআরএল দেখে নিন।
> পাসওয়ার্ড চুরির জন্য হ্যাকাররা আরেকটি পদ্ধতি ব্যবহার করে, তা হচ্ছে কি লগার। এটি এমন এক ধরনের সফটওয়্যার যা ফোন ও ল্যাপটপের মতো ডিভাইসে প্রবেশ করলে সেই ডিভাইসে যে যে বোতাম চাপা হয় তার সব তথ্য চলে যায় হ্যাকারের কাছে। তারপর হ্যাকার সেই তথ্য থেকে পাসওয়ার্ডসহ নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে নিতে পারে। এই ধরনের হ্যাকিং এড়াতে নির্ভরযোগ্য সংস্থার অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করুন।
> ফিসিং সম্পর্কে এখন অনেকেই জানেন। এটি হ্যাকারদের একটি অন্যতম পদ্ধতি। যা দিয়ে তারা মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়। এই পদ্ধতিতে হ্যাকাররা ফোনোর মেসেজ বা ই-মেইলে বিভিন্ন ধরনের লিঙ্ক পাঠায়, এই লিঙ্কে গিয়ে লগইন করলেই চুরি হয়ে যায় পাসওয়ার্ড। এই ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে যে কোনো লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
> পাবলিক প্লেসে কখনো ফোনের কোনো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। যদি কোনো প্রতারকের নজরে পড়ে যান, তাহলে চুরি হয়ে যেতে পারে আপনার পাসওয়ার্ড। এই ধরনের প্রতারণা এড়াতে ফেস আইডি বা আঙুলের ছাপ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করুন।
Discussion about this post