বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হারের অধ্যয়ন। বহুকাল ধরেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মুগ্ধ করেছে এই বিষয়। আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে, ১৯২০-র দশকে জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডউইন পি. হাবল এবং জর্জেস লেমাইত্রের প্রাথমিক গবেষণা। আর সেখান থেকে ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিককার ‘ডার্ক এনার্জি’-র খোঁজ। মহাবিশ্বের বিবর্তন বরাবরই বিজ্ঞানীদের পছন্দের বিষয়।
আর বর্তমানে সেই বিষয়ের অধ্যয়নে বিজ্ঞানীদের প্রধান অস্ত্র হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। সেখান থেকে প্রাপ্ত ডেটা থেকেই মিলেছে এক নতুন সম্ভাবনা। মহাবিশ্বে কতটা দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করছেন গবেষকরা। আর তার থেকেই তাদের বক্তব্য, ‘অদ্ভুত কিছু ঘটছে’।
নাসা’র মতে, হাবল স্পেস টেলিস্কোপের প্রদত্ত তথ্যানুসারে প্রত্যাশিত হারের তুলনায়, আরও দ্রুত হারে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত নাসা এই অসঙ্গতির নেপথ্যে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেনি।
স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউট এবং মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির অ্যাডাম রিস এই গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ থেকে সংগৃহীত তথ্য সম্পর্কিত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অন্যান্য ছায়াপথগুলি আমাদের সৌরজগত থেকে বেশ দ্রুত হারে দূরে সরে যাচ্ছে। মহাবিশ্বের প্রসারণের হারে একটি স্পষ্ট বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।
এর আগে গবেষকদের করা সম্প্রসারণের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ৬৭.৫ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি মেগাপারসেক হারে সম্প্রসারণের কথা।
হাবল টেলিস্কোপ গত ৩০ বছর ধরে ডেটা সংগ্রহ করেছে। সেই ডেটা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, সম্প্রসারণের বর্তমান হার ৭৩ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি মেগাপারসেকের কাছাকাছি।
Discussion about this post