করোনা আতঙ্কে গৃহবন্দী পুরাে বিশ্বেে মানুষ, বন্দী ভারতের মানুষও। সময় কাটানোর জন্য ভরসা মোবাইল ফোন। আর সেই ভরসার কাণ্ডারি ইন্টারনেট সংযোগ। বাড়িতে বসে বিশ্ব জানা থেকে শুরু করে সিনেমা দেখা, গান শোনার জন্য ভরসা সেই ইন্টারনেট।
লকডাউনের জেরে ভারতে বেশ কিছুটা বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাত্রা, জানাচ্ছে রিপোর্ট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২২শে মার্চ জনতা কারফিউ ঘোষমার পর থেকে এবং ২৫ শে মার্চ লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা। পরিসংখ্যান বলছে, এই দিনগুলিতে প্রায় ৩০৮,০০০ টেরাবাইট বা টিবি নেট ব্যবহার করেছেন ভারতবাসী।
টেলিকমিউনিকশন মন্ত্রনালয়ের ডেটা অনুযায়ী ২২ শে মার্চ থেকে ২৮শে মার্চের মধ্যে গোটা দেশে খরচ হয়েছে ৩০৭ পেটাবাইট ইন্টারনেট। যা সাধারণ সময়ে তুলনায় বেশ বেশি। জানা গিয়েছে সাধারণ দিনের তুলনায় ৯শতাংশ বেড়েছে ব্যবহার। ২১শে মার্চ ২৮২ পেটাবাইট ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার হয়েছিল। যেদিন জনতা কারফিউ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী, সেদিন ১৩ শতাংশ বেড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাত্রা। অথচ ১৯ শে মার্চ ইন্টারনেট ব্যবহার হয় ২৭০ পিবি বা পেটাবাইট। গড়ে ৩১২ পিবি ডেটা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে খবর। ২৬শে মার্চ ৩১১ পিবি ডেটা খরচ করে গোটা দেশ।
জানা গিয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, স্কুল থেকে অনলাইনে পড়াশুনার হার বাড়া, অনলাইন মিটিং বা গৃহবন্দী মানুষের ভিডিও কলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে।
এদিকে, নেটফ্লিক্স, হটস্টার, অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও, ভুটের মত ওভার দ্য টপ প্রোভাইডাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্ট্রিমিং রেজিলিউশন প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনা হবে। সেক্ষেত্রে এইচডি কোয়ালিটির ভিডি এসডি-তে ও এসডি কোয়ালিটির ভিডিও ৪৮০পি বিটরেটসে নামিয়ে আনা হবে।
Discussion about this post