অনলাইন ডেস্ক
করোনা ভাইরাসের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বাংলা ভাষায় গ্রাফচিত্রসহ মানচিত্র ভিত্তিক “কোভিড-১৯ ট্রাকার” তৈরী করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। । জুম অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন থেকে গতকাল (২১ এপ্রিল) এই ডিজিটাল ট্র্যাকারটির উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এরমাধ্যমে ঘাতক এই ভাইরাসটি দেশজুড়ে কিভাবে ছড়াচ্ছে প্রতিমুহূর্তে এর হালনাগাদ তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রতিমুহূর্তে জানা যাচ্ছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াও নতুন সংক্রমিত রোগী, মোট মৃতের সংখ্যা, সুস্থ, সঙ্কটাপূর্ণ এবং মৃত্যু হারের সর্বশেষ তথ্য।
ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে টেক্সট এবং টেব্যুলার শিটের মাধ্যমেও তুলে ধরে হচ্ছে ভাইরাসটি প্রভাবক চিত্র। এর মাধ্যমে বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই প্রয়োজনীয় ডেটা বা তথ্য অনুসন্ধানের সুযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে টেব্যুলার ফরমেট থেকে ডেটা ফিল্টার ও এক্সপোর্ট করা যাবে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ওয়াল্ড মিটার. ইনফো থেকে ডেটা সংগ্রহ করে তুলে ধরা হয়েছে বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলার চালচিত্রের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনা সংক্রমণের চিত্রও তুলে ধরা হচ্ছে এর মাধ্যমে। প্রতি ৫-১০ মিনিট অন্তর হালনাগাদ হচ্ছে তথ্যগুলো। ওয়েবের পাশাপাশি মোবাইল সংস্করণেও মিলছে এই মাল্টিমিডিয়া তথ্যসেবাটি। আবার এপিআই ব্যবহার করে এই ডেটা যে কোনো ওয়েব পোর্টালেও ব্যবহারের সুবিধা দিচ্ছে কোভিড-১৯ ট্র্যাকার। এই ভাইরাস আক্রমণের সার্বিক তথ্যচিত্র জানতে covid19tracer.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ জনিত সকল তথ্যাদি জানতে এই ট্রাকার অত্যন্ত গুরুত্ব ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন ডিজিটাল প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভরশীল হতে কৌশলপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে আইসিটি বিভাগ ।এই কৌশলপত্রে দেশেই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনী হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন উৎপাদনে সক্ষমতার বিষয়ক পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে। আগামী তিন বছরে খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রতিপালনের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন জনগণের নিকট জরুরী খাদ্য পৌঁছে দিতে হট লাইন ৩৩৩#২ এবং এক জেলা থেকে অন্য জেলায় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হট লাইন ৩৩৩#২ চালু, করোন সহ বিভিন্ন সংকট মোকাবিলায় প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেছেন, এমআইএসটি, শাস্ট ও বুয়েট ছাড়াও ওয়ালটন এবং মাইওয়ান ভেন্টিলেটর তৈরির কাজ শুরু করেছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এর দেশে তৈরি ভেন্টিলেটর সরবরাহে ইতিবাচক খবর জানানো সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।
Discussion about this post