প্রযুক্তি ডেস্ক
তারুণ্য বিশ্বজয় এমনকি মৃত্যুকে পরাজিত করার স্বপ্নে বিভোর থাকারই একটা বয়স। জীবনের এই সময়টায় অসাধ্য সাধন করেছেন অনেকে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় উন্নত বিশ্বের কাতারে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে স্বপ্ন বুনছেন অনেক তরুণ। সেই তরুণদেরই একজন স্টাটা বাংলাদেশের কর্ণধার সৈয়দ তাসদীক।
তারুণ্যের সাহস ও পরিবারের সহযোগিতা নিয়ে তৈরি করেছেন স্মার্ট প্রোডাক্স পাইওনিয়ার কোম্পানি স্টাটা আইটি লিমটেড। প্রতিষ্ঠনটি তৈরির শুরুর গল্পটা সাদামাটা। ২০১৭ সালে তাসদীক স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশকে স্মার্ট ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার। তারপর ধাপে ধাপে দেশের বাজারে নিয়ে এসেছেন স্মার্ট সুইচ, স্মার্ট সিসি টিভি ক্যামেরা, স্মার্ট ডোরবেল এবং স্মার্ট ডোর লকের মতো পণ্য।
কর্মব্যস্ত জীবনে সময়ের সঙ্গে ছুটতে গিয়ে যদি ঘরের লাইট বা ফ্যন বন্ধ করতে ভুলে যান, তাহলে স্টাটা স্মার্ট সুইচ ব্যবহার করে ঘরের বাইরে থেকেই বন্ধ করতে পারবেন। এ ছাড়া আপনার ঘরের বাইরে থাকা স্টাটা ডোরবেল আপনাকে শোনাবে আগত অতিথির কণ্ঠ। কিংবা ধরুন আপনি আছেন অফিসে, ঠিক সেই সময় পার্সেল নিয়ে হাজির ডেলিভারিম্যান, চিন্তার কিছু নেই, আপনার স্টাটা ডোর লকের আইডি অ্যাকসেস কিছুক্ষণের জন্য শেয়ার করে দিলে ঘরে ঢুকেই ডেলিভারিম্যান পৌঁছে দিতে পারবে আপনার পণ্য। আর স্টাটার স্মার্ট সিসি ক্যমেরায় আপনি নিশ্চিত করতে পারবেন নিরাপত্তাও।
আর এসব স্মার্ট ডিভাইস কিনলে স্টাটা আইটি লিমটেড দিচ্ছে এক বছরের ফ্রি সার্ভিসিং।
প্রতিষ্ঠানটি জানাচ্ছে, কোনো পণ্যের জন্য এক বছরের ফ্রি রিপ্লেসমেন্ট, আর পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে, সার্ভিস দেয়া হয়।
তাসদীক জানান, শিগগিরই স্ট্রাটা নিয়ে আসছে স্মার্ট হেলথ নামে নতুন প্রযুক্তি।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট হেলথের জন্য আমরা কিছু ডিভাইস নিয়ে এসেছি। টেলিমেডিসিন তো বাংলাদেশে আছে। আমরা চাচ্ছি, কিছু ডিভাইস থাকবে, যেগুলো ব্যবহার করলে ডেটা সরাসরি টেলিমেডিসিন অ্যাপে চলে আসবে।’
স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অবদান রাখার স্বপ্ন নিয়ে এমন সব স্মার্ট ইলেকট্রনিক পণ্য নিয়ে রাজধানীর বাড্ডায় স্টাটা আইটি লিমটেডের অফিসে কাজ করছেন একঝাঁক তরুণ।
Discussion about this post